

ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাংলাদেশ নারী দলের শক্তির পার্থক্য অনেক। তবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজ সফরকারীদের জন্য সহজ হতে দেয়নি বাঘিনীরা, লড়াই করেছে চোখে চোখ রেখে। প্রথম দুই ম্যাচে লড়াই করে হারা নিগার সুলতানা জ্যোতির দল জয় তুলে নিয়েছে শেষ ম্যাচে। শেষ ম্যাচে হয়নি স্বপ্নভঙ্গ, বোলারদের পর ব্যাটাররাও পারফর্ম করে তুলে নিয়েছে স্বস্তির জয়।
আজ টসে জিতে আগে ব্যাট করে ভারত। স্মৃতি মান্দানা ও শেফালি ভার্মার উদ্বোধনী জুটি টেকে কেবল ৭ বল। ২ বলে ১ রান করে মান্দানা ফেরেম সুলতানা খাতুনের বলে ফাহিমা খাতুনকে ক্যাচ দিয়ে।
বেশিক্ষণ টেকেননি শেফালি ভার্মাও। ১৪ বলে ১ চারে ১১ রান করা শেফালিকেও ফেরান সুলতানা, এ দফায় ক্যাচ ধরেন স্বর্ণা আক্তার।
২০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জেমিমা রড্রিগুয়েজকে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ভারতীয় কাপ্তান হারমানপ্রীত কর। ২৬ বলে ৪ চারে ২৮ রান করেন জেমিমা, ৪১ বল খেলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৪০ রান করেন হারমানপ্রীত।
এই দুজনের বিদায়ের পর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। শেষ ১২ রান করতে ৬ উইকেট হারায় ভারত। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০২ রানে থামে তারা।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ১৬ রান খরচে ৩ উইকেট নেন রাবেয়া খান। ১৭ রান খরচে ২ উইকেট নেন সুলতানা খাতুন। ১ টি করে শিকার নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন ও স্বর্ণা আক্তারের।
জবাব দিতে নেমে চার দিয়ে শুরু করেন সাথী রাণী। যদিও ৯ বলে ১০ রান করে ফিরতে হয় তাকে। তিনে নেমে ৭ বল খেলেও ১ রানের বেশি করতে পারেননি দিলারা আক্তার।
১৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ৪৬ রানের কার্যকরী জুটি গড়েন শামীমা সুলতানা ও কাপ্তান নিগার সুলতানা জ্যোতি। ২০ বল খেলে কোন বাউন্ডারি ছাড়া ১৪ রান করে আউট হন নিগার।
এরপর স্বর্ণা আক্তার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ৭ বল খেলে ২ রান করেন তিনি। ৬ নম্বরে নেমে ৮ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন সুলতানা খাতুন।
ওপেন করতে নামা শামীমা সুলতানা আউট হন ১৭ তম ওভারে গিয়ে। ৪৬ বলে ৩ চারে ৪২ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি।
এরপর বাংলাদেশকে আর বিপদে পড়তে দেননি রিতু মনি ও নাহিদা আক্তার। রিতু মনি ৮ বলে অপরাজিত ৭ ও নাহিদা আক্তার ৬ বলে অপরাজিত ১০ রান করলে ১০ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।