

আফগান অধিনায়ক রাশিদ খানের চাওয়া, টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বেশিক্ষণ যাতে বাংলাদেশি ব্যাটাররা ক্রিজে না থাকে। সিলেটের মাঠে শক্তিশালী বাংলাদেশের সামনে কাজটা সহজ না হলেও রাশিদ বেশ আশাবাদী। দলের উদীয়মান ক্রিকেটারদের রীতিমতো ভাসালেন প্রশংসা বন্যায়। জানালেন আফগান দলের পাইপলাইন শক্ত করার পেছনের গল্প।
আফগানিস্তানের অন্যতম সেরা তারকা রাশিদ খানের কাছে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়, তাদের দেশ থেকে এতো এতো দারুণ ক্রিকেটার উঠে আসার রহস্য কি?
রাশিদ যেন খুশিই হলেন এমন প্রশ্নে। বেশ যত্ন নিয়ে শোনালেন নিজেদের পাইপলাইনের গল্প,
‘আমাদের দেশ ন্যাচারাল ট্যালেন্টে ভরপুর। এটা আমাদের স্পেশাল করে তোলে। আমরা তরুণ হিসেবে আগে বেসিকের ওপর নজর দেই। আমাদের তেমন সুযোগ-সুবিধা নেই। তবে আমাদের ন্যাচারাল ট্যালেন্ট আছে এটাই আফগানিস্তানের ক্রিকেটকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। ১০-১৫ বছর আগে একদমই সুযোগ সুবিধা ছিল না। কোনো মাঠ ছিল না, ঘাসের মাঠ ছিল না। সিমেন্টের পিচে খেলা হতো। টেনিস বল থেকে ক্রিকেটাররা এই পর্যায়ে উঠে এসেছে। তাদের প্যাশন আছে। এটাই আফগানদের এই পর্যায়ে স্পেশাল করে তুলেছে।’
সিলেটের মাঠে বিপিএল মাতিয়ে যাওয়া রাশিদ খানের মনে নেই এখানকার উইকেটের আচরণ কেমন। তবুও অভিজ্ঞতার জোরে রাশিদ আশাবাদী, তার মতে ভালো উইকেট হবে।
‘বিপিএলের কিছু ম্যাচ সিলেটে খেলেছি। মনে নেই কবে, তবে কুমিল্লার হয়ে সম্ভবত খেলেছি। ঢাকা হলে বলতে পারতাম উইকেট কেমন হবে। উইকেট বদলাতে থাকে। এখানে কেমন উইকেট হবে বলতে পারছি না। তবে আশা করছি বোলিংয়ের জন্য উইকেটটা ভালোই হবে।’
বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে শেষ কয়েক সিরিজ ধরে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আর তাইতো সিলেটে সিরিজ শুরুর আগে টাইগারদের সমীহ করছে আফগানরা।
‘নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশ ভয়ংকর। তারা দাপুটে ক্রিকেট খেলে থাকে। তবে চেষ্টা করব বাংলাদেশি ব্যাটাররা যেন বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে না পারে। তবে তারা স্পিনের বিপক্ষে ভালো, ভালো রোটেট করতে পারে। তারা সবাই মানসম্পন্ন ক্রিকেটার, বাংলাদেশের হয়ে অনেক দিন খেলছে। তাই কিছুই সহজ হবে না।’