

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৭০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডোমিনিকায় বল হাতে তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। প্রথম দিনশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল অল আউট হয়েছে ১৫০ রানে। অন্যদিকে ভারত বিনা উইকেটে ৮০ রান তুলে মাঠের খেলায় এগিয়ে আছে।
ইয়াশভি জাইসাওয়ালের ডেব্যু ম্যাচের দিন ভালো খেলার ইঙ্গিত রাখছেন এই ওপেনার। প্রথম রান পেতে খরচা হয় ১২ টি বল। প্রথম রান আসে আলজারি জোসেফের বলে বাউন্ডারি মেরে। ৫০ রানের জুটি গড়তে রাকিম কর্নওয়ালের বলে কিছু শক্ত শট খেলতে পরিশ্রম হয়েছে বটে জাইসাওয়ালের। তবুও অপরপ্রান্তে অধিনায়কের সাথে মিলে জুটি গড়তে হয়নি অসুবিধা
আম্পায়ার্স কলের সুবাধে রোহিত শর্মা একবার ফিরেও আসেন। নিজেকে গন্ডি থেকে বের করে খেলতে থাকেন আলজারি জোসেফ, জোমেল ওয়ারিকানের ডেলিভারি। জোসেফের কিছু লাইন-হারা ডেলিভারিতে অতিরিক্ত রানের খাতা খোলার সুযোগ পায় ভারত। দিনশেষে ভারত ২৩ ওভার খেলে বিনা উইকেটে ৮০ রান তুলতে সক্ষম হয়। ইয়াশভি জাইসাওয়াল ৭৩ বলে ৪০ রানে এবং রোহিত শর্মা ৬৫ বলে ৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
অন্যদিকে প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ব্যাটারদের ভালো পরীক্ষা নিয়েছেন ভারতীয় বোলাররা। মোহাম্মদ সিরাজ ও জয়দেব উনাদকাটের ভালো লাইনের বল খেলতে সমস্যায় পড়তে হয় দুই উইন্ডিজ ওপেনারের৷ প্রথম ১ ঘণ্টা দুই ওপেনার টিকে থাকলেও স্পিনার রবিনচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আর সে সুযোগ হয় না।
দুই ওপেনারকে নিজের বোলিং ফাঁদে ফেরান অশ্বিন। জারমেইন ব্ল্যাকউডকেও প্রায় করায়ত্ত করে ফেলেছিলেন এই স্পিনার। আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান তিনি। তবে শারদুল ঠাকুরের বলে আউট-সাইড এজে ডেব্যু হওয়া ভারতীয় উইকেটরক্ষক ইশান কিষাণের হাতে কট বিহাইন্ডে দ্রুতই পতন ঘটে রেমন্ড রেইফারের। তাতে দলীয় ৪৭ রানে তখন তৃতীয় উইকেট পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগের ওভারে রবীন্দ্র জাদেজাও বাদ থাকেননি উইকেট অর্জনের দিক থেকে। মোহাম্মদ সিরাজের দারুণ ক্যাচে ফিরে যেতে হয় আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যাওয়া ব্যাটার জারমেইন ব্যাকউডকে।
দ্বিতীয় সেশনে খুব দ্রুত একটা রিভিউ নষ্ট করলেও শার্দুল ঠাকুরের রবীন্দ্র জাদেজার বলে উইকেট পড়তেও সময় নেয় নি। দলীয় রান তখন ৭৬, ৫ উইকেট হারিয়ে।
আলিক আথানেজ ও জেসন হোল্ডারের কিছু চেষ্টা দলকে রানে ফেরানোর আভাস দেয়। আথানেজ চমৎকার ব্যাট চালাতে থাকেন। স্লগ সুইপে ওভার বাউন্ডারিও আসে তাঁর ব্যাট থেকে। তবে মোহাম্মদ সিরাজের শর্ট বলে ১০৭ বলে ৪১ রানের এই জুটি ভেঙে যায়। ফিরে যান জেসন হোল্ডার।
আলজারি জোসেফকে তুলে নিয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৭০০ আন্তর্জাতিক উইকেট তুলে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেন। এরপরের উইকেটটা আথানেজের। মিস-টাইমড পুল শটে অর্ধশতক থেকে ৩ রান দূরে থেকেই থেমে যান এই ব্যাটার। খেলেন ৯৯ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। দলীয় রান তখন ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯।
পরবর্তীতে রাকিম কর্নওয়াল আক্রমণাত্মক হয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন। কিছু বাউন্ডারি আদায় করতেও সক্ষম হন চা বিরতির পরে। এরমধ্যে রবীন্দ্র জাদেজার তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন কেমার রোচ। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পঞ্চম শিকার হয়ে শেষ ব্যাটার হিসেবে ফেরেন জোমেল ওয়ারিকান। ফলে ৬৪ ওভার ৩ বলে ১৫০ রানে সবগুলো উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৪ বলে ১৯ রান করে কর্নওয়াল ছিলেন অপরাজিত।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রবিচন্দ্রন অশ্বিন একাই তুলে নেন ৫ টি উইকেট। যা তাঁর ৩৩ তম ৫ উইকেট অর্জন। রবীন্দ্র জাদেজা নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ সিরাজ ও শার্দুল ঠাকুর নেন ১ টি করে উইকেট।