
কোনো এক সিদ্ধান্তে যে আসতেই হতো! সেই সিদ্ধান্ত কেমন হবে, স্পষ্ট করে জানা যায় না। তবে ধারণা অনেকটা করা যাচ্ছে এমসিসির সাম্প্রতিক প্রস্তাবনার দিকে তাকিয়ে। চলমান অ্যাশেজের লর্ডস টেস্টের আগে বৈঠকে বসে এমসিসির বর্তমান কমিটি। ক্রিকেটের নানা অবস্থা নিয়ে সে বৈঠকে আলোচনা হয়। ওয়ানডে ক্রিকেট, টেস্ট ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট; কোথায় কোন ফরম্যাটের উত্থান আর সংকট, সে ব্যাপারে আলোকপাত করেন মাইক গ্যাটিংয়ের অধীনে এমসিসির এই কমিটি।
ক্রিকেট বিশ্বে ৫০ ওভারের ওডিআই ক্রিকেট মূলত সবচেয়ে বেশি খেলা হয়। যেকোনো সিরিজে ওডিআই ম্যাচের সংখ্যা অন্যান্য ফরম্যাটের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকে। বর্তমানে অবশ্য টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সংখ্যাটাও বাড়ছে। সেই ৫০ ওভারের খেলা কমিয়ে আনার ব্যাপারে প্রস্তাবনা দিয়েছে এমসিসি (মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব)। ২০২৭ সালের পর ছেলেদের ওয়ানডে ম্যাচ যতটা কম করা যায়, সে ব্যাপারে কথা তুলেছেন তাঁরা।
এমসিসির বর্তমান সভাপতি সাবেক ইংল্যান্ড ক্রিকেটার মাইক গ্যাটিং। তার সভাপতিত্বে অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে এসব প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। সদস্যবৃন্দের মধ্যে ছিলেন, সৌরভ গাঙ্গুলি, জাস্টিন ল্যাঙ্গার, কুমার সাঙ্গাকারা, রমিজ রাজা, এডউইন মরগান, ঝুলন গোস্বামী ও হিদার নাইট।
৫০ ওভারের খেলা কমিয়ে আনলে এই ফরম্যাটের চাহিদা আরো বাড়বে বলে এমসিসি মনে করে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বন্ধ রাখার ব্যাপারেও তাঁরা কথা বলেছেন। শুধুমাত্র বিশ্বকাপের বছর ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন হতে পারে বলে তাঁরা জানান।
এর পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটকে দর্শকমুখী করার জন্য কী কী করা যায়, সে ব্যাপারে হয়েছে আলোচনা। একরকম ‘তহবিল’ গঠন করার ব্যাপারেও একমত হয়েছেন তাঁরা। যে তহবিল টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখার কাজ করবে। এই ব্যাপারটা যতটা না বাস্তবিকতা মেপে হবে, তারচেয়ে বেশি কৌশলগত বিবেচনা থেকে কাজ করবে বলে তাঁদের ধারণা।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বৃদ্ধি, সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে কিছুটা মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ‘রোগ’ হতে রক্ষার তাগিদে এমসিসি কিছুটা কৌশলগত দিক থেকেই এসব প্রস্তাবনা দিয়েছে। এই সমস্ত কিছু ২০২৭- ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর থেকে ক্রিকেটে সংযুক্ত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। যেহেতু ২০২৭ সাল পর্যন্ত সকল এফটিপি ঠিক করে রাখা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সময়ের দাবিতে এমসিসির এই নতুন ‘কৌশলগত’ প্রস্তাবনা ক্রিকেটের কল্যাণেই কাজে দিবে।