

মিরপুরে ভারতীয় নারী দলের সহজ জয়। টস জিতে তারা বাংলাদেশকে ১১৪ রানে আটকে দেয় এবং তারপরে হারমনপ্রীত কৌর দেখিয়েছেন কীভাবে ধীর উইকেটে ব্যাট করতে হয়। ভারত অধিনায়ক ৩৫ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে ২২ বল বাকি থাকতে সাত উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠে হারমানপ্রীতের হাতেই।
১১ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো নারীদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ঘরের মাঠে এমন ঐতিহাসিক ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দল আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
শেষবার হোম অব ক্রিকেটে খেলেছিল ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টির সেই ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দল হেরেছিল ১৬ রানে। প্রায় ১১ বছর পর ফের নারীদের ক্রিকেট মিরপুরে ফিরলেও জয়ে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারে কেবল ১১৪ রান।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হলেও ব্যক্তিগত ১৭ রানে থাকা ওপেনার শামীমা সুলতানাকে ফিরিয়ে ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মিন্নু মনি। তিনে নামা সুবহানা মোস্তারিকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার সাথী রাণী।
দলীয় ৫২ রানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটের পতন। পুজা বস্ত্রকারের বলে ক্লিন বোল্ড ২২ রান করা সাথী রাণী। ইনিংস বড় করতে পারেননি নিগার সুলতানা। মাত্র ২ রান করতেই টাইগ্রেস অধিনায়ক হয়েছেন রান-আউটের শিকার। সুবহানা মোস্তারি বিদায় নেন ৩৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে। এক ইনিংসেই দ্বিতীয় রান-আউটের শিকার রিতু মনি। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
হান্ড্রেড স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে শেষপর্যন্ত স্বর্ণা আক্তার অপরাজিত থাকেন ২৮ রানের। তার ব্যাটেই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস দেখে বাংলাদেশ শিবির। বাংলাদেশ ভারতের সামনে ছুড়ে দেয় ১১৫ রানের সহজ টার্গেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মারুফা আক্তারের পেস তোপে শুরুর ওভারেই উইকেট হারান শেফালি ভার্মা। মারফুর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পরা শেফালি হয়েছেন ডাক। তিনে নামা জেমিমাহ রদ্রিগেজ থিতু হয়েও ব্যক্তিগত ১১ রানে হয়েছেন বোল্ড। সালমা খাতুনের দারুণ এক ডেলিভারি ইনসাইড এজ হয়ে স্টাম্প ভাঙে জেমিমাহ’র। স্কোরবোর্ডে ২১ রান উঠতেই দুই উইকেট নেই ভারতের।
তবুও পাওয়ার-প্লের প্রথম ৬ ওভারে ভারতের সংগ্রহে জমা হয় ৪১ রান। স্মৃতি মান্দানার সঙ্গে অধিনায়ক হারমানপ্রীতের ৭০ রানের অনবদ্য জুটিতে সহজেই জয়ের পথে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। সালমা খাতুন অবশ্য ভাঙতে পারেন এই জুটি। এগিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন ৩৪ বলে ৩৮ করা মান্দানা। তখন জয় থেকে কেবল ২৪ রান দূরে ভারত, বাকি ৪১ বল।
ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৪ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন হারমানপ্রীত। পরের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিশ্চিত করেন দলের জয়। শেষপর্যন্ত হারমানপ্রীত অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। ইয়াশতিকা বাটিয়ার ব্যাট থেকে আসে ৯ রান।