

‘সবাই শকড হয়ে গিয়েছিল, কেউ আশা করেনি’- তামিম ইকবালের অবসর ইস্যুতে মেহেদী হাসান মিরাজ দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে এভাবেই শোনালেন নিজেদের খারাপ লাগার কথা। সব ভুলে তবুও নিজেদের তৈরি করেছেন ম্যাচের জন্য। কিন্তু ফল এবারও আসেনি পক্ষে, মাঠের খেলায় যে রয়ে গেছে এর রেশ। বাংলাদেশ রীতিমতো উড়ে গেছে আফগানিস্তানের সামনে। মিরাজের মতে, শুরুর বাজে বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে আফগান ব্যাটাররা একটু বেশিই রান করে ফেলেছে।
তামিম ইকবালের অবসর, ফের ফিরে আসা! শেষ কয়েকদিনে বাংলাদেশ ক্রিকেটাঙ্গনের টপ ইস্যু। মিরাজের কাছে প্রশ্ন ছোড়া হয় তামিমের এমন হঠাৎই অবসর ঘোষণা টিম হোটেলে কেমন প্রভাব ফেলেছে?
‘অবশ্যই সবাই শকড হয়ে গিয়েছিল। তামিম ভাই এভাবে অবসরে যাবে কেউ আশা করেনি। সেদিন প্র্যাকটিস ছিল না, পরদিন ছিল। আমরা সবাই যে যার মতো প্রস্তুতি নিয়েছি। যেটা হয়ে গেছে তাতে তখন একটু খারাপ লাগছিল প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই। এরপর প্র্যাকটিস, পরিকল্পনায় তো খেলার জন্য তৈরি হয়ে যেতে হবে সবাইকে।’
উদ্বোধনী জুটিতেই আফগানিস্তানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার গুরবাজ আর ইব্রাহিম। দুজনে মিলে ২৫৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশি বোলারদের হতাশায় ডোবালেন। এই এক জুটিতেই অনেক রেকর্ডের মালা গাঁথলেন তারা। আর তাতেই ধ্বংসস্তূপে রূপ নেয় বাংলাদেশ।
মিরাজের মুখ থেকে এক পর্যায়ে বেরিয়ে এল, এই ম্যাচ জেতা তাদের জন্য বেশ কঠিনই ছিল।
‘ওরা একটু বেশি রান করে ফেলেছে। প্রথমদিকে আমরা ভালো বল করতে পারেনি, গুছিয়ে বল করতে পারেনি। তবে ৩৩১ রান এই উইকেটের জন্য অবশ্যই অনেক বেশি রান। যদি টপ অর্ডার ভালো খেলত বা ওপর থেকে একটা ভালো পার্টনারশিপ হতো তাহলে আমরা খেলা গভীরে নিয়ে যেতে পারতাম, জেতার আশা থাকত। যেহেতু দ্রুত উইকেট পড়েছে, টপ অর্ডার রান করতে পারেনি, এই ম্যাচ জেতা অবশ্যই কঠিন ছিল।’
সেই পুরানো মুখস্থ স্ক্রিপ্ট ফের শোনা গেল মিরাজের কণ্ঠে- আমরা রান বেশি দিয়েছে, টার্গেট আরেকটু কম হলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো।
‘আমরা ৩০-৪০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি। ২৮০-৯০ রান এর ভেতরে থাকলে খেলা অন্যরকম হয়ে যেত। ৩৩১ একটু বেশি ছিল ওদের বোলিং অ্যাটাকের জন্য। ওদের বোলিং অবশ্যই ভালো। আমরা প্রথমদিকে আরেকটু শৃঙ্খলা রেখে বল করলে আরও ভালো হতো।’