

অ্যাশেজ চলমান। দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে করতে, অ্যালেক্স ক্যারি নিজেই ভালো বিপদে পড়েছেন। ইংল্যান্ডের লিডস- এর এক নরসুন্দর দাবি করেছেন, ক্যারি তাঁর দোকানে এসেছিলেন, চুল কেটেছেন, কিন্তু বিল দেননি। অন্যদিকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এই অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে অস্বীকার করেছে।
নরসুন্দরের নাম আদম মাহমুদ। যিনি লিডসে অবস্থিত একটি সেলুনে কাজ করেন। চলছে অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্ট। যা অনুষ্ঠিতও হচ্ছে লিডসে। অনেকেই চুল কাটতে আসেন আদম মাহমুদের কাছে। গিয়েছিলেন সাবেক ইংল্যান্ড ক্রিকেটার অ্যালিস্টার কুক। মূলত কুকের কাছেই এই ঘটনা বা অভিযোগ বর্ণনা করেছেন নরসুন্দর আদম।
কুক স্পষ্ট হওয়ার জন্য জানতে চেয়েছিলেন, কার কথা বলছো? মারনাস লাবুশেইন? ডেভিড ওয়ার্নার? উসমান খাজা?, কারণ তাঁরা সম্প্রতি চুল কেটেছে।
আদম জানায়, সম্ভবত ‘অ্যালেক্স’ তার নাম।
এই ঘটনা উল্লেখ করে ইংলিশ দৈনিক ‘দ্য সান’ প্রতিবেদন তৈরি করে। যেখানে স্পষ্টভাবে অ্যালেক্স ক্যারির কথা উল্লেখ করা হয়, ঘটনা যে এমনই ঘটেছে এরকম ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে সে প্রতিবেদনে। বিলের পরিমাণও বলা হয়, ৩০ পাউন্ড।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানায়, কিছুসংখ্যক দলভুক্ত খেলোয়াড় সেলুনে গিয়েছে ঠিক এবং তাঁদের বিল প্রদান করার নথি রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া দলের সহ-অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ‘থ্রেডস’- এ দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি, আমরা যখন লন্ডনে ছিলাম, তারপর থেকে অ্যালেক্স ক্যারি আর চুল কাটেনি। সঠিক তথ্য নাও দ্য সান’– অর্থাৎ ‘দ্য সান’ এর প্রতিবেদনে যেহেতু এই বিষয়টি উঠে এসেছে, এজন্য স্মিথ এই পত্রিকার তথ্যের যথার্থতার দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এ ঘটনায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে সবমিলিয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, এসবের সূত্রপাত দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনে বেয়ারস্টোর উইকেট। যে উইকেটের নেপথ্যে ছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি। যে উইকেট নিয়ে মাঠ ও মাঠের বাইরে নানারকম আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া দলের খেলোয়াড়দের যেতে হয়েছে ইংল্যান্ড সমর্থকদের ভর্ৎসনার মধ্য দিয়ে।
নরসুন্দর ও বিল প্রদান না করা নিয়ে যে ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে, তা হতে পারে অ্যালেক্স ক্যারির উপরে ইংলিশ সমর্থকদের রাগের বহিঃপ্রকাশ। বা অন্যকিছু। স্পষ্ট করে কিছুই যে জানা যায়নি এখনো! তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও তাঁদের খেলোয়াড়দের কথায় বোঝা যায়, এমন কোনো ঘটনা অ্যালেক্স ক্যারি ঘটায় নি।