জোড়া শতকে বাংলাদেশের টার্গেট ৩৩২

আফগান রান পাহাড়
Vinkmag ad

রেকর্ড ব্রেকিং উদ্বোধনী জুটি! দুই ওপেনারের জোড়া শতক। রাজার মতো মুস্তাফিজ-মিরাজদের শাসন করে রহমানউল্লাহ গুরবাজের অনবদ্য ১৪৫, ইব্রাহিম জাদরান ফিরলেন শতরানে। উদ্বোধনী জুটিতেই আফগানিস্তানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার গুরবাজ আর ইব্রাহিম। দুজনে মিলে ২৫৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশি বোলারদের হতাশায় ডোবালেন। এই এক জুটিতেই অনেক রেকর্ডের মালা গাঁথলেন তারা।

সিরিজের আশা বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৩২ রান।

বাংলাদেশ একাদশে ২ পরিবর্তন নিয়ে সিরিজের ২য় ওয়ানডেতে মাঠে নামে। শুরুর পাওয়ার-প্লের ১০ ওভারে কোনোপ্রকার পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশি বোলাররা। বিপরীতে আফগানিস্তানের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৬৭ রান। রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরানের ওপেনিং জুটির দারুণ শুরু।

৪৬ বলে ৪০ রানে থাকা গুরবাজ সাকিবকে পরপর দুই বলে ৪, ৬ হাঁকিয়ে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নিজের তৃতীয় ফিফটি খেলতে গুরবাজ খরচ করেন কেবল ৪৮ বল। গুরবাজের ব্যাটে ঝড়, জাদরানের।দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৪.২ বলেই আফগানদের দলীয় সংগ্রহ পৌঁছায় ১০৩ এ। ১৫ ওভার করতেই বাংলাদেশ অতিরিক্ত রান খরচে ২০।

২১.৫ ওভারে দেড়শত রান পূর্ন করে আফগানিস্তান। এর আগে উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছে আগের সর্বোচ্চ ১৪১ রান। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২০১২ সালের ম্যাচে শারজাহতে আফগান দুই ওপেনার জাভেদ আহমাদি ও করিম সাদিকের রেকর্ড এতোদিন অক্ষত থাকলেও গুরবাজ-জাদরানের ব্যাটে আজ লেখা হল নতুন রেকর্ড।

ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির পর চট্টগ্রামেই নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। সেঞ্চুরি করতে লেগেছে ১০০ বল, এরপর গুরবাজের উল্লাস ছিল দেখার মতো। আগের সেঞ্চুরির দিনে ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তান পায় স্বস্তির জয়। বাংলাদেশের কাছে লজ্জার হোয়াইটওয়াশ থেকে রক্ষা পায় আফগানরা।

৭৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন ইব্রাহিম জাদরান। পঞ্চাশ ছুঁয়ে ইব্রাহিম হন মারমুখী। উইকেটের দেখা মিলছিল না কোনো পরিকল্পনাতেই। ঘরের মাঠে ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এবারই বাংলাদেশ প্রথম ৩০ ওভারের মধ্যে ওপেনিং জুটি ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সেরা জুটি এটি। এর আগে ২০১৭ সালে প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং হাশিম আমলা মিলে করেন হার-না-মানা ২৮২ রান।

অবশেষে মিলল উইকেটের সন্ধান। ২৫৬ রানে আফগানিস্তানের প্রথম উইকেট ফেলতে পারল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। ফেরার আগে অবশ্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলে গেছেন গুরবাজ। টাইগার বোলারদের বিরুদ্ধে এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলা শুরু করেন তিনি। তার ইনিংসে ভর করেই বড় সংগ্রহের পথে এগোয় আফগানিস্তান। ১২৫ বলে ১৪৫ রানের অনবদ্য এই ইনিংস সাজানো ছিল ১৩টি চার এবং আটটি ছয়ে।

তিনে নামা রহমত শাহ দুই রান করতেই হয়েছেন এবাদতের শিকার। সমান দুই রানে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি হয়েছেন বোল্ড। মিরাজের দারুণ এক ডেলিভারিতে স্টাম্প উঠে যায় আফগান অধিনায়কের। মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান।

মেহেদী হাসান মিরাজের দ্বিতীয় শিকার ১০ রানে থাকা নাজিবউল্লাহ জাদরান। ইব্রাহিম জাদরান শতক হাঁকিয়ে পরের বলেই নিয়েছেন বিদায়। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১১৯ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে এই ইনিংস সাজান ইব্রাহিম। ৬ রানের বেশি পাননি রাশিদ খান। সাকিবকে এগিয়ে খেলতে গিয়ে হয়েছেন স্টাম্পড। নিজের কোটার শেষ ওভারে মুস্তাফিজ দ্বিতীয় শিকার বানালেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে (২)। হাসান মাহমুদ ফেরালেন ৫ রান করা মুজিব-উব-রহমানকে। 

শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে আফগানিস্তান স্কোরবোর্ডে যোগ করে ৩৩১ রান, ৯ উইকেট হারিয়ে।

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

প্রথম টেস্টের ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোয়াডে চমক

Read Next

সাকিবের পুরনো ঘরে নেতা হয়ে এলেন তামিম

Total
0
Share