তামিমের থাকা, না থাকা নিয়ে লিটন: ‘সবকিছু একই থাকবে’

লিটন তামিম
Vinkmag ad

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হিসাবে চলমান আফগানিস্তান সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। ২য় ওয়ানডের আগের দিন উপস্থিত হন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে। একদিনের ব্যবধানে তামিমের চেয়ারে বসা লিটন মনে করছেন, তার জন্য অধিনায়কত্ব বড় কোনো চ্যালেঞ্জ না। তামিম ইকবালের না থাকাটা দল নেবে স্বাভাবিক নিয়মেই। কারণ জাতীয় দল যে ক্রিকেটারদের আসা-যাওয়ার এক জংশন, নতুনদের সুযোগ দিতে সরে দাঁড়ায় পুরাতন’রা। শুদ্ধ বিশ্বাস নিয়ে সামনে এগিয়ে আফগান সিরিজটা শেষ করাই লিটনদের এখন কাজ।

তামিম ইকবালের মতো এতো বড় তারকার অভাব দেশের ক্রিকেটে নিঃসন্দেহে অপূরণীয়। তবুও সময়ের বিবেচনায় এগিয়ে যাওয়া দুনিয়ার চিরায়ত নিয়ম। আগের অধ্যায় বার বার পড়তে থাকলে পরের অধ্যায়ে এগিয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। ঠিক তেমনি ভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও সামনে যাবে, জয়ের স্বপ্নে মাঠে নামবে।

সিরিজের মাঝপথে তামিমের চেয়ারে বসা লিটন দাস মনে করেন, তামিমের না থাকা বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ দল খেলবে সেরা এগারো ক্রিকেটারকে নিয়ে। ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়া আর অতীতের সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞ বোধ করা ছাড়া সবই অনর্থক মানেন লিটন দাস।

‘না (তামিমের না থাকা দলে প্রভাব ফেলবে না)। দেখেন উনি আগের ম্যাচে ছিল, এই ম্যাচে ছিল না। কোনোভাবে উনার যদি ইঞ্জুরিও হতো আমরা কিন্তু বিকল্প নিয়ে খেলতাম। আমার কাছে মনে হয় না এই নিয়ে কোন পরিবর্তন হবে। সবকিছু একই থাকবে।’

তামিমকে কতটা মিস করবে দেশ কিংবা সতীর্থরা? গণমাধ্যমের ছোড়া এমন প্রশ্নের উত্তরের লিটন বলেন,

‘এই জিনিসটা বলাটা খুবই কষ্টকর। মিস করা, আমি আজকে আছি কালকে ইঞ্জুরড হয়ে গেলে কালকে বাংলাদেশ আমাকে মিস করবে না। এটাই স্বাভাবিক কারণ নতুন খেলোয়াড়েরা আসতে থাকবে আসতে থাকবে… একটা সময় তারা আসবে আমরা চলে যাব। এটাই হতে থাকবে। অবশ্যই উনি যদি থাকতো ভালো হতো। কিন্তু এখন যেহেতু নাই তাই ওই টপিক নিয়ে আর কথা বলার দরকার নেই আমার কাছে মনে হয়।’

লিটন দাসের কাছে ক্যাপ্টেন্সি কোনো থিওরি বা সূত্রের মতো না। স্বাভাবিক কাজটাই সামলাতে চেষ্টা করেন বলেই তার কাছে অধিনায়কত্ব সহজ।

‘কোন কিছু তো আর থিওরি না। এমন না যে জিনিসটা নতুন, আমি তো এটা আগেও করেছি (অধিনায়কত্ব)। আমি যখন ব্যাটিং করবো তখন আমি একজন ব্যাটসম্যান । যখন আমি ফিল্ডিংয়ে নামব তখন আমি দলকে হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করব এটাই একজন অধিনায়কের কাজ। আপনি যখন ব্যক্তিগতভাবে পারফরম্যান্স করবেন তখন সেটা দলের জন্য সুবিধা হবে। আমি যদি আমার ব্যাটিংটাই ঠিক মতো করতে না পারি তাহলে আমি কিভাবে একটা দলকে শক্তিশালী জায়গায় নিয়ে যাব।’

‘(ক্যাপ্টেন্সি) কোন ম্যাজিক না সব খেলোয়াররা শাসন করছে এটাই বড় জিনিস। খেলোয়াড়রা পারফর্ম করলে ম্যাচ জিতলে, সেটা অধিনায়কেরই নাম হয়। অধিনায়ক আলাদাভাবে কিছুই করে না।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

২৫-২৬ গড় লিটনের কাছে ‘খারাপ না’

Read Next

প্রধানমন্ত্রীর ডাকে গণভবনে তামিম ইকবাল

Total
0
Share