

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের শুরুর ম্যাচেই বাংলাদেশ ধাক্কা খায় পরিকল্পনায়। বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধ্বস। যা বিশ্বকাপের আগে বড় ধরনের হুমকি। বৃষ্টি ও আফগান বোলিংয়ের বিষে নীল হয়ে বাংলাদেশ শেষপর্যন্ত ম্যাচ হারে ১৭ রানে। সংবাদ সম্মেলনে এসে তাওহীদ হৃদয় আফগান স্পিনারদের বলেছেন বিশ্বসেরা। টেল এন্ডারদের স্ট্রাইক দেয়া নিয়ে হৃদয় এখন বুঝছেন, নিজে স্ট্রাইকে বেশি থাকলেই ভালো হত।
নির্ধারিত ৪৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৬৯ রান তুলতে বাংলাদেশ হারায় ৯ উইকেট। যার চারটি যায় পেসারদের হাতে, বাকি পাঁচ উইকেট ভাগ করে নেন স্পিনাররা। শুধুই স্পিনে আধিপত্য নয়, পেস আক্রমণেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের নাকাল করেছে আফগানিস্তান। দুই অংকের ঘরে পোঁছানো পাঁচ ব্যাটারের তিনজনকে প্যাভিলিয়নে ফেরান পেসাররা। আফগান স্পিন ভয়ে থাকা টাইগাররা এবার পেসেও হয়েছেন ধরাশায়ী।
সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি বলেছিলেন, ‘গোটা বিশ্বই জানে আফগানিস্তানের স্পিনাররা সেরা।’ এই কথাটাই যেন প্রথম ওয়ানডে শেষে বুমেরাং করলেন তাওহীদ হৃদয়।
‘অবশ্যই। তারা (আফগানিস্তান) বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল। ওদের বিপক্ষে যদি ভালো করা যায়, তাহলে আপনি অন্য স্পিনারদের খেলা অনেক সহজ হবে। সাকিব ভাইর সঙ্গেও এ নিয়ে কথা হচ্ছিল। হ্যাঁ, একটু চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে দিন শেষে আমাদের এখান থেকে বেরিয়ে ভালো করতে হবে।’
ব্যাটিং ধ্বস ঠেকাতে ড্রেসিংরুমে এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে কি আলাপ হয়? এমনটাই জানতে চাওয়া হয় অফিসিয়াল প্রেস কনফারেন্সে আসা তাওহীদ হৃদয়ের কাছে।
চেনা ব্যাটিং অর্ডারে ধ্বস নিয়ে হৃদয়ের কড়া জবাব,
‘এরকম কোন নেতিবাচক আলাপ আমাদের ড্রেসিংরুমে হয় না। এটা পরিস্থিতি বুঝে কখন কীভাবে তখন পরিস্থিতি কী ডীমান্ড করে এরকম পরিকল্পনা করি। আমাদের সবার উপরে বিশ্বাস আছে যে যেকনো পরিস্থিতিতেই আমরা ফিরে আসব।’
টেল এন্ডারদের এক পাশে রেখে তাওহীদ হৃদয় দেখাতে পারতেন একক পথচলা। বেশিরভাগ সময় স্ট্রাইক নিজের কাছে রেখে তিনি রান বাড়াতে পারতেন। তবে এমনটা দেখা যায়নি তার ব্যাটিংয়ে। বরং ফিফটি হাঁকিয়ে হৃদয়কেই ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। যার ফলে ১৬৯ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
শেষদিকেও টেল এন্ডারদের স্ট্রাইক দেয়া নিয়ে হৃদয় বলেন,
‘হয়তো ভালো হতো (স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখা)। তখন ওভাবে চিন্তা করা হয়নি। দল থেকে বলা ছিল নরমাল প্লানে যেভাবে চলছিল সেভাবে আগাতে। যা হবে শেষের দুই-তিন ওভারে।’