

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে চায় আফগানরা। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির মতে, বিশ্বকাপের আগে সাকিব-তামিমদের বুঝতে কাজে দিবে চট্টগ্রামের ওয়ানডে সিরিজ। বক্তব্য আরও পরিষ্কার করে জানালেন, ‘আমরা এখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে এসেছি। দুই দলের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম খেলা ৭ অক্টোবর। ধর্মশালায় টাইগারদের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। রাশিদ-মুজিবদের স্পিন আক্রমণের বিরুদ্ধে লিটন-শান্তদের ব্যাটিং পারফরম্যান্স; এই লড়াই রূপ নেবে চরম উত্তেজনায়।
ওয়ানডে সুপার লিগে ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে টপকে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় হিসেবে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করেছে বাংলাদেশ দল। আফগানিস্তানও সরাসরি টিকিট পেয়েছে বিশ্বকাপ খেলার।
এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে ৫০ ওভারের সিরিজ খেলতে এসে গণমাধ্যমের সামনে স্বাগতিকদের প্রশংসায় ভাসিয়ে নিজেদের গুণকীর্তন করতেও ভুল করেননি হাশমতউল্লাহ শহীদি।
‘বাংলাদেশ সবসময় ভালো খেলে। গত কয়েক বছর ধরে ওয়ানডেতে অনেক ভালো খেলছে। তবে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। গত দুই বছর ধরে আমরাও ওয়ানডেতে ভালো খেলছি। আমরাও বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করেছি যেখানে কিনা সুপার লিগে ৯টি ম্যাচ খেলাই হয়নি। আমরা এখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে এসেছি। দুই দলের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।’
মেগা সব ইভেন্টে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে এবার চট্টগ্রামে লড়াইয়ে নামছে আফগানিস্তান। এই সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ দু’দলের কাছেই।
‘বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের সাথে। এশিয়া কাপেও একই গ্রুপে। এই সিরিজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই সিরিজ থেকে তাদের বোলার-ব্যাটারদের নিয়ে জানতে পারব।’
ঢাকায় গতমাসে একমাত্র টেস্টে না খেলা রাশিদ খানকে নিয়ে এবার বাংলাদেশে আফগানিস্তান দল। টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক রাশিদ ওয়ানডেতেও দলের সবচেয়ে বড় তারকা।
চট্টগ্রামে সিরিজ শুরুর আগে রাশিদের বন্দনায় মেতে উঠেন হাশমতউল্লাহ শহীদি,
‘রাশিদ আমাদের জন্য বড় নাম। সে দলের সাথে থাকলে আমি অধিনায়ক হিসেবে অনেক আত্মবিশ্বাসী থাকি। রাশিদের মতো কেউ থাকা মানে যেকোনো দলের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাওয়া। ইনশাআল্লাহ্ সে আমাদের জন্য ভালো কিছুই করবে।’
আফগানিস্তানের ওয়ানডে স্কোয়াড-
হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, শহিদুল্লাহ কামাল, ইকরাম আলিখিল, রাশিদ খান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মুজিব-উর-রহমান, ফজলহক ফারুকী, জিয়া আকবর, ইজহারুল হক নাভিদ, আব্দুল রহমান, বাফাদার মোমান্দ, সালিম সাফি, সৈয়দ আহমেদ শিরজাদ।