

ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেন কপালে পোড়া নিয়ে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলতে এসেছে। গত ম্যাচে জিম্বাবুয়ের সাথে তিক্ত হারের স্বাদ না যেতেই, আজ নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে বসেছে দলটি। এই হারে বিশ্বকাপের স্বপ্ন অনেকটাই মিলিয়ে গেল উইন্ডিজের জন্য। সুপার-সিক্সে উঠেছে দল, কিন্তু ঝুলিতে নেই কোনো পয়েন্ট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুড়ে দেওয়া ৩৭৪ রানের লক্ষ্য ডাচ ব্যাটাররা নিমিষেই তাড়া করে। তবে ম্যাচ টাই হওয়ার ফলে, তা গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। উইন্ডিজের পক্ষে হোল্ডারের এক ওভারে ৩০ রান তোলেন ডাচ ব্যাটার লোগান ভ্যান বিক। ৬ বলেই আসা বাউন্ডারিতে ৩ ছয় ও ৩ চারে ওভার শেষ করে নেদারল্যান্ড।
বল হাতেও ভ্যান বিকের আগমন ঘটে উইন্ডিজ ব্যাটারদের সামনে। ৩১ রানের টার্গেটে দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮ রান তুলতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলাফল হিসেবে সুপার ওভারে নেদারল্যান্ডের জয়।
জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম উইকেট জুটিই বলে দেয় উইন্ডিজ যাচ্ছে বড় রানের দিকে। ব্রান্ডন কিং ও জনসন চার্লস মিলে তোলেন ১০১ (১০৪) রান। দুজনেই অর্ধ-শতক পুর্ণ করেন। চার্লস ফেরেন ৭৬ রানে। কিং ৫৪ রানে। আরো একটি ১০০ রানের জুটি গড়েন শাই হোপ ও নিকোলাস পুরান, তারা দু’জন মিলে দলের জন্য সংগ্রহ করেন ১০৮ (৭৭) রান।
পুরানের ধারাবাহিক পারফর্ম্যান্স উইন্ডিজ দলের জন্য বরাবরই উপকারী হিসেবে ধরা দিচ্ছে। আজকেও হাঁকান শতক। ৯ চার ও ৬ ছয়ে ৬৫ বলে করেন ১০৪ রান। ইনিংস শেষে ছিলেন অপরাজিত। শেষের দিকে কিমো পলের ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ নিয়ে যায় ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৭৪ রানে।
শক্তিমত্তার দিক থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়ে থাকলেও নেদারল্যান্ড কম কিছু নয়। বড় টার্গেট মোকাবিলায় সাহসী ভূমিকা দেখা যায় দুই ওপেনিং ব্যাটারের খেলাতেই। ম্যাক্স’ও ডাউড ও বিক্রমজিত সিং মিলে দলের জন্য তোলেন ৭৬ (৬৫) রান। প্রথম উইকেট পতনের পর ক্ষণে ক্ষণে রান তুলেছেন ডাচ ব্যাটাররা।
তবে উল্লেখযোগ্য পারফর্ম করেন তেজা নিদামানুরু। স্কট এডওয়ার্ডসকে সাথী করে বাঁধেন লম্বা জুটি। ৯০ বলে ১৪৩ রানের জুটিই স্বপ্ন দেখাতে থাকে কমলা জার্সিধারীদের। এদিকে নিদামানুরু ৬৮ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকটি তুলে নেন। নিদামানুরু’র উইকেট পতন ডাচদের জন্য আশংকার হয়ে দাঁড়ায়। উইন্ডিজরা পায় ভরসা।
তবে সেসময় কাণ্ডারি হয়ে আসেন লোগান ভ্যান বিক। দুই ওভারে ৩০ রানের সমীকরণের সামনে পড়ে দলটি। রোস্টন চেজের এক ওভারেই ২১ রান তোলেন তিনি। শেষমেশ ৫ বলে ৫ রানের হিসাবে গড়ায় ম্যাচ। আলজারি জোসেফের শেষ বলে ফন ভিকের উইকেট পতনে ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ায়।
এই ম্যাচ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ২০২৩ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা খুব কঠিন হয়ে গেল। পয়েন্ট-শূন্য অবস্থায় সুপার-সিক্সে উঠল দলটি। এই গ্রুপের অন্য দুই দল হিসেবে সুপার-সিক্সে উঠেছে নেদারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে।