

হারারেতে রূপকথা লিখে জিম্বাবুয়ে পেল স্মরণীয় জয়। বিপরীতে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের হৃদয়বিদারক পরাজয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে সবার সামনে, ফিল্ডিং মিস। ক্ষোভ ঝরল হেড কোচ ড্যারেন স্যামির কণ্ঠে। কোচ স্যামির মতো অধিনায়ক শাই হোপও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডিং নিয়ে তার মূল্যায়নে বিরক্ত ছিলেন।
‘আমরা জেতার যোগ্য ছিলাম না। আপনি যদি প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটারদের সুযোগ দিতে থাকেন, অবশেষে ক্রিকেট দেবতারা আপনাকে ধরবে।’- ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডারদের ক্যাচ মিস নিয়ে এভাবেই ম্যাচ শেষে আক্ষেপ করেন ড্যারেন স্যামি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিকান্দার রাজাকে দু’বার নতুন জীবন দিয়েছিল, প্রথমে ১ ও তারপর ব্যক্তিগত ৭ রানের সময়। এই সুযোগ নিয়েই ৫৮ বলে ৬৮ রান করে সর্বোচ্চ স্কোরার হন রাজা। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডারদের থেকে চারটি ক্যাচ ফস্কে যায়; এর মধ্যে তিনটিই যায় আলজারি জোসেফের হাত থেকে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে হেড কোচ ড্যারেন স্যামি বলেন,
‘অত্যন্ত হতাশ। টসে, আমরা যা চেয়েছিলাম তা হয়েছে, আগে বোলিং। দেখুন, যদি আমরা এই ধরণের ফিল্ডিং প্রদর্শন করতে থাকি – আমরা গত কয়েকটি ম্যাচেও এই সম্পর্কে কথা বলেছি – এবং আপনি যদি প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটারদের সুযোগ দিতে থাকেন তবে শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট দেবতারা আপনাকে ধরবে।’
‘আজ সত্যিই খারাপ পারফরম্যান্স ছিল এবং দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে আমরা আজ কিছুই করিনি। আর তাই আজ আমরা মোটেও জেতার যোগ্য ছিলাম না।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডিং নিয়ে ৩৫ রানে পরাজয়ের পর ক্যাপ্টেন শাই হোপও তার মূল্যায়নে বেশ বিরক্ত ছিলেন। ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনায় হোপ বলেন,
‘সত্যি বলতে, এখন আমার মাথায় অনেক কিছু আছে। আমি জানি না ব্যাখ্যা করতে পারব কিনা, [অবশ্যই] অনেক আঘাত এবং হতাশা রয়েছে। তবে টুর্নামেন্ট এখনও শেষ হয়নি। ক্যাচ: সহজ এবং সহজ। আমরা সুযোগ তৈরি করেছি। আমরা সবসময় বোলারদের তৈরি করতে বলি। সম্ভাবনা আছে এবং তারা শুধু সেটাই করছে কিন্তু আমরা মাঠে তাদের সমর্থন করছি না যেমনটা করা উচিত এবং তারপর আবার ব্যাট হাতে।’
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ২৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে ব্যাট করতে নামলে ৩২ বল বাকি থাকতে ২৩৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে বিশ্বকাপের রাস্তা কঠিন করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।