

সম্প্রতি ভারতীয় দলের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভারতীয় দল এবং দলীয় কিছু ব্যাপার নিয়ে মুখ খুলেছেন। কিছুদিন আগে তিনি বলেছেন, এখানে সবাই মূলত ‘সহকর্মী’, কেউ আসলে ‘বন্ধু’ নয়। তার সেই বক্তব্যকে খন্ডন করে বক্তব্য দিয়েছেন ভারতীয় দলের সাবেক হেড কোচ রবি শাস্ত্রী।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তার বর্তমান বয়স চলছে ৩৬ বছর। ভারতের হয়ে লাল বলের ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক তিনি। ৯২ ম্যাচে নিয়েছেন ৪৭৪ উইকেট। অর্জনের ঝুলি আর অভিজ্ঞতার ঝুলি- দুটোই পরিপূর্ণ বলা যায়।
তবে ছিলেননা কিছুদিন আগে শেষ হওয়া ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্য ওভালে অনুষ্ঠিত এই ফাইনালে অশ্বিনের থাকা-না থাকা নিয়ে ছিল নানারকম প্রশ্ন। শেষমেশ চার পেসারের ভারত দলে অশ্বিন তার জায়গা হারান। সেসময় এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে কিছু সমালোচনা হয়েছে। ভারত ম্যাচ হারার পর অশ্বিনও করেছিলেন টুইট। অস্বাভাবিক কিছুও লেখেননি।
তবে কিছুদিন আগে ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-কে রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন,
‘এটা এমনই এক যুগ, যেখানে সবাই হচ্ছে সহকর্মী। একসময় যখন ক্রিকেট খেলা হতো, আপনার সকল টিম-মেটরা ছিল বন্ধু। এখন তারা সহকর্মী। এখানে একটা বড় পার্থক্য রয়েছে। কারণ এখানে লোকেরা নিজেদের এগিয়ে নিতে এবং আপনার ডান-বামে যে ব্যক্তি বসে আছে, তার থেকেও এগিয়ে যেতে চায়। তো কারো সেই সময়টা নেই যে, বলবে, ‘ওকে, বস কি অবস্থা তোমার’?’
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বক্তব্যে আসলে অনেকটাই তার নিজ উপলব্ধির কথা বোঝা যায়। সে যদি ড্রেসিং রুমের পরিবেশ এরকম মনে করে এবং সেটা অনুপযুক্ত হিসেবে উপস্থাপন করে, তবে তার জন্য সেই পরিবেশটা যে ভালো নয়- তা তো পরিস্কার।
তবে এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতের প্রাক্তন কোচ বলছেন ভিন্ন কথা। রবি শাস্ত্রী মনে করছেন,
‘আমার জন্য এটা সবসময় ‘সহকর্মী’ হিসেবেই ছিল। আপনার কিছু বন্ধু থাকবে, যারা কিনা আপনার সহকর্মী। আমি বোঝাতে চাচ্ছি.. একজনের আসলে কতজন কাছের বন্ধু থাকে? আপনি যদি যান এবং কাউকে জিজ্ঞেস করেন, তারা বলবে, ৪ বা ৫.. তাদের জীবনে! আমি আমার জীবনে ৫ জন কাছের বন্ধু নিয়েই খুশি। আমি তো এর বেশি চাই না।’
রবিচন্দ্রন অশ্বিন আসলে কিভাবে বা কোন বোধ থেকে তার কথা ব্যক্ত করতে চেয়েছেন, তা তিনি ভালো জানবেন। পাশাপাশি রবি শাস্ত্রী যেভাবে তার বক্তব্য রেখেছেন, সেটিও কতটা উপযুক্ত হিসেবে অশ্বিনের কাছে ধরা দেয়- তাও এক প্রশ্ন আসলে।