হারারেতে রূপকথা, উইন্ডিজকে স্তম্ভিত করে জিম্বাবুয়ের স্মরণীয় জয়

20230625 001138 scaled
Vinkmag ad

আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল হয়তো হারারের ঐ গ্যালারিতে বসা জিম্বাবুইয়ান দর্শকদের। আইসিসি ওয়ার্ল্ড-কাপ বাছাইপর্বের খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৫ রানের জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। তার আগেই অবশ্য নিশ্চিত হয়েছে সুপার-সিক্স যাত্রা। তবে এই জয় যেন জিম্বাবুয়ের কাছে এই যাত্রার প্রেরণা হয়েই থাকবে।

হারারে ক্রিকেট স্টেডিয়াম। জিম্বাবুয়ের জন্য প্রিয় হোম ভেন্যু। টসে হেরে নিজেদের মাঠে ব্যাট করতে নামে তারা। ব্যাটিং ট্র‍্যাক হিসেবেই ছিল পিচ। তবে উইন্ডিজ বোলাররা খুব জলদি সিম মুভমেন্ট পাওয়া শুরু করলে খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনা জিম্বাবুইয়ান ব্যাটাররা।

বিশেষ করে আলজারি জোসেফের ভালো লেংথ এবং বাতাসে ভাসা বল মোকাবিলা করতে বেশ বেগ পেতেই হচ্ছিল ব্যাটারদের। ১০ ওভার শেষে মাত্র ৩৭ রান তুলতে সক্ষম হয় দলটি।

তবে ১৫ ওভার সময়কালে ক্রেইগ আরভিনের ক্যাচ মিস করে বসেন উইন্ডিজ ফিল্ডাররা। পরবর্তীতে ৪৭ রান করে বিদায় নেন আরভিন।

ওয়েস্ট উইন্ডিজ ফিল্ডারদের মিস ফিল্ডিংয়ের ধারাবাহিকতা দেখা যায় সিকান্দার রাজার ক্ষেত্রেও। ১ ও ৩ রানে জীবন ফিরে পান রাজা। পরবর্তীতে ৬৮ রানের এক ইনিংস খেলেন।

রায়ান বার্লও পেয়েছেন সুযোগ। সুযোগ কাজে লাগিয়ে করেছেন তার পঞ্চম ওয়ানডে অর্ধ-শতক। করেছেন সিকান্দার রাজার সাথে ৮৭ রানের জুটি। এই সমস্ত সুযোগ দেওয়ার কারণে উইন্ডিজ দল বেশ পিছিয়ে পড়েছিল। শেষ দশ ওভারে জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা নিয়েছেন ৭৫ টি রান। যেখানে শেষ উইকেট জুটিতে চাতারা-মুজারাবানি মিলে নিয়েছেন ২৫ রান। এই জুটি জিম্বাবুয়ের দর্শকেরা পছন্দ করেছেন তাদের মতো করে। উৎসাহ জুগিয়েছেন প্রতিটা বলে। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক দল খেলা শেষ করে ২৬৮ রানে, সব উইকেট হারিয়ে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের মধ্যে, কিমো পল নিয়েছেন ৩ উইকেট, আলজারি জোসেফ এবং আকিল হোসেন নিয়েছেন ২ টি করে উইকেট। মেয়ার্স এবং চেজ পেয়েছেন ১ টি করে উইকেট।

২৬৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উইন্ডিজের দুই ওপেনার বেশ আগ্রাসী ব্যাট চালাতে থাকে। তারা ৬ ওভার সময়কালে ৪৩ রান তুলে ফেলে দলের খাতায়।

তবে পরবর্তীতে দ্রুত দুই উইকেটের পতন এবং ডট ডেলিভারি জিম্বাবুয়েকে খেলায় ফিরতে সাহায্য করে। যদিও শাই হোপের সাথে কাইল মেয়ার্সের জুটি কিছু শঙ্কিত করছিল জিম্বাবুয়েকে। তবুও তাদের দর্শকদের ছিল পূর্ণ আস্থা। তারা সাহস যুগিয়েছে ম্যাচের প্রতিটা মুহুর্তেই।

৫৬ রান করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে ফেরেন মেয়ার্স। স্বস্তি কিছুটা ফিরে পায় তারা। নিকোলাস পুরান এবং শাই হোপ তখনো ছিলেন ক্রিজে। তাদের জুটিও কিছুটা গড়ে ওঠার দিকেই যাচ্ছিল। তবে সিকান্দার রাজার শিকার হয়ে ফেরেন হোপ। পুরান এরপর রোস্টন চেসের সাথেও চেষ্টা করতে থাকেন দলকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর।

শেষ ১০ ওভারে ৫২ রানের প্রয়োজন ছিল ওয়েস্ট উইন্ডিজের। তবে পরবর্তী ব্যাটাররা তা সম্পন্ন করতে পারেননি। ফলাফল জিম্বাবুয়ের জন্য এক স্মরণীয় জয়। জিম্বাবুয়ের দর্শকেরা হয়তো তাদের কাঙ্ক্ষিত এক ম্যাচ দেখলেন হারারের গ্যালারিতে বসে।

জিম্বাবুয়ে বোলারদের পক্ষে টেন্ডাই চাতারা নেন ৩ উইকেট, সিকান্দার রাজা নেন ২ টি এবং ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা নেন ১ টি করে উইকেট।

গ্রুপ ‘এ’ থেকে সুপার সিক্স নিশ্চিত হয়েছে জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নেদারল্যান্ডসের। বাদ পড়েছে নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে জিম্বাবুয়ের কাছে এই হারের মাশুল দিতে হতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে। সুপার-সিক্সে হিসাব করা হবে প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে পাওয়া পয়েন্ট।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

এমসিসির পরিকল্পনা: ক্রিকেট হবে আরো যুগপৎ

Read Next

অশ্বিনের মন্তব্যের জবাবে শাস্ত্রী, ‘৪-৫ জন ভালো বন্ধুই যথেষ্ট’

Total
0
Share