এজবাস্টনের পিচ অ্যান্ডারসনের চোখে ‘ক্রিপ্টোনাইট’

ঘরের মাঠে অ্যান্ডারসনের বিরল সেঞ্চুরি
Vinkmag ad

সম্প্রতি দ্য টেলিগ্রাফে লেখা এক কলামে ইংলিশ তারকা পেসার জেমস অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন, এজবাস্টনের মতো পিচ যদি আসন্ন ম্যাচগুলোতেও দেখা যায়- তাহলে সে ‘DONE’ অর্থাৎ তার জন্য আর বেশি কিছু করার থাকবেনা।

আগামী মাসে অ্যান্ডারসনের বয়স গড়াবে ৪১-এ। ইংল্যান্ড ক্রিকেটে টেস্ট দলের এখনো নিয়মিত মুখ তিনি। সিম আর সুইংয়ের মিশেলে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে ঘোল খাওয়ানো তার কাছে খুব কঠিন কিছু নয়। সদ্য শেষ হওয়া ম্যাচে অর্জিত ১ উইকেটে তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উইকেট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১০০।

এই হেলদি পরিসংখ্যান নিয়েও জেমস অ্যান্ডারসন পড়েছেন কিছুটা বিপাকে। সেটা অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট খেলার পর তার উপলব্ধি। কলাম লিখেছেন টেলিগ্রাফে। জানিয়েছেন, এজবাস্টনের মতো ফ্লাট পিচে বল করে তিনি কিছুই পাননি। পরিশ্রম করেছেন উইকেট থেকে সিম, সুইং, রিভার্স সুইং আদায় করে নিতে। কিন্তু সুবিধা করতে পারেন নি।

‘ঐ পিচটা ছিল আমার জন্য ‘ক্রিপ্টোনাইট’- এর মতো। সেখানে খুব বেশি সুইং ছিল না, কোনো রিভার্স-সুইং না, কোনো সিম-মুভমেন্ট না, না বাউন্স এবং না কোনো পেস। আমি বছরের পর বছর আমার স্কিলে শান দিয়েছি, যাতে আমি যেকোনো পরিস্থিতিতে বল করতে পারি। কিন্তু যা কিছুই চেষ্টা করেছি, কোনো পার্থক্য তৈরি করেনি। আমার মনে হচ্ছিল, আমি একটা কষ্টসাধ্য যুদ্ধ করছি। এটা একটা লম্বা সিরিজ (অ্যাশেজ) এবং আশা করছি, আমি কিছু জায়গায় অবদান রাখতে পারব। কিন্তু যদি সব পিচ এরকমই থাকে, তাহলে আমি ছেড়ে দিচ্ছি (I am Done) এই অ্যাশেজ সিরিজ।’

বেশ হতাশাই ফুটে উঠেছে তার লেখা বা কথায়। এজবাস্টনের পিচকে তিনি নিজের জন্য ‘ক্রিপ্টোনাইট’ বলেছেন। এর অর্থ হচ্ছে, এমনকিছু- যা একজন মানুষের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ছে, কিন্তু মানুষটি ছিল মূলত শক্তিশালী। বোঝা যাচ্ছে, অ্যান্ডারসন নিজের উপর যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছিলেন, সে আত্মবিশ্বাসে কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে এজবাস্টনে ম্যাচ খেলার পর।

ঘাটতি তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। পুরো ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন মাত্র ১ টি। বল করেছেন ৩৮ ওভার, রান দিয়েছেন ১০৯। দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম স্পেলে যদিও কিছুটা দুর্ভাগা ছিলেন। অ্যান্ডারসনের বলে বেয়ারস্টো তালুবন্দি করতে পারেননি উসমান খাজার ক্যাচ। সেই উইকেট পেলে নিজেকে আরেকটু বোঝাতে পারতেন হয়তো। নামের পাশে শুধু ১ টা মাত্র উইকেট আর ১০৯ রান দেখে ভালো না লাগার অধিকার তার আছে। পাশাপাশি দলও হয়েছে পরাজিত।

‘যখন আপনি এজবাস্টনের মতো ফ্লাট পিচে খেলবেন এবং একটা উইকেট নিবেন, আপনার ভেতর থেকে কিছু আবেগ বের হয়ে আসবে। কারণ আপনি এর জন্য অতিরিক্ত কঠিন কিছু কাজ করেছেন।’

সিম, সুইং, পেস- ঘরানার উইকেট জেমস অ্যান্ডারসনের জন্য কতটা প্রয়োজন, তা বোঝা যায়। তিনি সবসময়ই উইকেটের সুবিধা নেওয়ার জন্যে নিজেকে উপযুক্ত হিসেবে প্রমাণ করেছেন। তবে ক্রিকেটে এমন দিন আসে যে, উইকেট আপনাকে সুবিধা দিবে না। তখন আপনি আপনার যোগ্যতা দিয়ে আরো কি করতে পারেন, সেটা দেখতে চায় দুনিয়া। সেই পরিমাপে, অ্যান্ডারসন কিছুটা অসুখী। অন্তত তার কথায় তা-ই ফুটে ওঠে।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

হারিস, আইয়ুবদের নিয়ে পাকিস্তানের শক্তিশালী ইমার্জিং দল

Read Next

মঈনের কভার হিসেবে ইংল্যান্ড স্কোয়াডে রেহান আহমেদ

Total
0
Share