

প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে সোমবার বৃষ্টি ভেজা ফাইনালে চাঁদপুর গনি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কে ৩ উইকেটে হারিয়েছে দিনাজপুর একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়। ম্যান অব দ্য ফাইনাল পুরস্কার জেতেন দিনাজপুরের আইনুল ইসলাম।
ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিনাজপুর একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তোলে চাঁদপুর গণি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। জবাবে খেলতে নেমে দিনাজপুরের ইনিংসের ২০ ওভারের সময় শুরু হয় বৃষ্টি। ওই সময় দিনাজপুরের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১০২ রান। বৃষ্টি থামলে তাদের সামনে বেঁধে দেওয়া হয় ৪০ ওভারে ১৫৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে ৩০.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দিনাজপুর একাডেমি স্কুল।
দিনাজপুরকে জেতাতে বড় অবদান রাখে অলরাউন্ডার আইনুল ইসলাম। বল হাতে ৪ উইকেট নিয়েছে এই পেসার। হয়েছে ম্যান অব দ্য ফাইনাল। ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করে দিনাজপুরের ওপেনার আবদুর রউফ।
চাঁদপুরের অধিনায়ক সালমান জাহান নিয়াজির জন্য আফসোসের এক ফাইনাল। স্রোতের বিপরীতে লড়াই করে ৯১ বলে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। পুরো টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রানের (৩৬০) মালিকও সালমান। পেয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার। ৭৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা সালমান একা হাতে টানেন দলকে।
টুর্নামেন্টের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান মাত্র ৭ রান করতেই উইকেট হারান। চাঁদপুরের আরেক ওপেনার রজত কান্তি করে ২৪ রান। এছাড়া ২৮ রান করে ইমতিয়াজ আইমন।
দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত দিনাজপুরের কোচ রাজন ইসলাম, ‘আত্মবিশ্বাস ছিল এবার আমরাই চ্যাম্পিয়ন হবো। এই দলকে চ্যাম্পিয়ন করার সব কৃতিত্ব দেব এই ছেলেদের। আজকের বৃষ্টির কারণে একটু দুশ্চিন্তা হয়েছিল। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে এক ওভারে দুজন আউট হওয়ায় নার্ভাসও হয়ে পড়ি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলেরা ম্যাচ বের করে এনেছে।’
চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক মারুফ হোসেনের কন্ঠে খুশির ছোঁয়া, ‘যখন আমরা ফাইনালে উঠি তখনই ভেবেছিলাম, চ্যাম্পিয়ন হবো। আসলে এবার আমরা চ্যাম্পিয়নের মতোই খেলেছি। প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রাখতে চেয়েছিলাম। সেটা পেরেছি। যদিও বৃষ্টি আসায় খারাপ লাগছিল। চেয়েছিলাম খেলে জিতব। এবং খেলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি আমরা। এতদিন যে কষ্ট করেছি সেটা সার্থক হয়েছে।’