

খাজার রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি আর জোড়া পঞ্চাশের দিনে জমে উঠেছে অ্যাশেজ লড়াই। ‘বাজবল’ মেথডের বিপরীতে গিয়ে চিরপরিচিত রক্ষণাত্মক মেজাজে এজবাস্টনে সেঞ্চুরি হাঁকালেন ওপেনার উসমান খাজা। তার শতরান ছাড়িয়ে যাওয়া ইনিংসেই অস্ট্রেলিয়ার জবাব। দ্বিতীয় দিনে ইংলিশদের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে ৩১১ রান তুলেছে অজি ব্যাটাররা। তবে এখনও ইংল্যান্ড ৮২ রানে এগিয়ে রয়েছে।
এজবাস্টনে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডের বোলারদের ধৈর্যের যথাযথ পরীক্ষা নেন উসমান খাজা। ৩৯৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই তাদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩১১ রান সংগ্রহ করেছে। উসমান খাজা ১২৬ ও অ্যালেক্স ক্যারি ৫২ রানে অপরাজিত থেকে দিন খেলা শেষ করে আসেন।
পরিস্থিতি যেমন দাঁড়িয়েছে, ইংল্যান্ড হয়তো ভাবছে যে গতকাল ইনিংস ঘোষণা করার সঠিক সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছে কিনা। দুই দিন পর, অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট সুন্দরভাবে ভারসাম্যপূর্ণ। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান অজি ওপেনার। এই শতরানের ইনিংস যেন খাজার কাছে বিশেষ কিছু। আকাশে ব্যাট ছুঁড়ে দিয়ে তার শতক উদযাপন।
প্রথম দিনে ৭৮ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৩৯৩ রান তুলে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে দেয় ইংল্যান্ড। জো রুটের শতরানের ইনিংস ছাড়াও ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি ৬১ ও উইকেটকিপার জনি বেয়ারস্টো ৭৮ রান করেন।
বেন স্টোকসদের আশা ছিল আগের দিন শেষ বিকেলেই তুলে নিবে অজিদের দুই-এক উইকেট। কিন্তু দিনের খেলা সমাপ্ত হওয়ার আগে কেবল ৪ ওভার বল করতে পারে ইংল্যান্ডের পেসাররা। আসেনি কোনো উইকেট। দ্বিতীয় দিন সকালেই অবশ্য দেখালেন তাদের দাপট।
স্টুয়ার্ট ব্রড এক পরপর দুই বলে শিকার করেন জোড়া শিকার। ডেভিড ওয়ার্নার ফের ব্যর্থ, এবারও উইকেট হারান স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে। ওয়ার্নার ৯ করে বোল্ড হলেও মারনাস লাবুশেইনের গোল্ডেন ডাক। বিপাকে পড়ে যাওয়া অজি ব্যাটিং লাইন এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে উসমান খাজার আর স্টিভেন স্মিথের ব্যাটে।
স্মিথ তার সহজাহ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠান্ডা মাথায়। কিন্তু বিপত্তি বাঁধালেন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। ফেললেন লেগ বিফোরের ফাঁদে, রিভিউ নিয়েও উইকেটে বাঁচতে পারেননি স্মিথ, ব্যক্তিগত ১৬ রানে থেকেই তাকে এদিন ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। স্কোরবোর্ডে ৬৭ রান উঠতেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা সফরকারী শিবিরে স্বস্তি ফিরে আসে ট্রাভিস হেড আর খাজার জুটিতে।
হেড তার মারকুটে ব্যাটিং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল থেকে নিয়ে আসলেন অ্যাশেজেও। তবে ফিফটি পূর্ণ করে সঙ্গে-সঙ্গেই বিদায় নেন হেড। ক্যামেরন গ্রিন এসে খেলে যান ৩৮ রানের ইনিংস। তখনও শতরান ছোঁয়া হয়নি উসমান খাজার। ইংলিশ বোলারদের সামনে খেলেছেন পারফেক্ট টেস্ট মেজাজে।
খাজা হেড, ক্যামেরন গ্রিন এবং অ্যালেক্স ক্যারির সাথে এজবাস্টন ট্র্যাকে ধারাবাহিক হাফ সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ করেছেন। প্রথমে হেডের সঙ্গে জুটিতে আসে ৮১ রান। এরপর ক্যামেরন গ্রিন এসে সঙ্গ দেন, এই জুটিতে আসে ৭২ রান। অ্যালেক্স ক্যারির সাথে ব্যাট করে ৯১ রানের হার-না-মানা পার্টনারশিপ।
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান অজি ওপেনার। এই শতরানের ইনিংস যেন খাজার কাছে বিশেষ কিছু। আকাশে ব্যাট ছুঁড়ে দিয়ে তার শতক উদযাপন। দিন শেষে ২৭৯ বলে ১২৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
তবে এখনও ইংল্যান্ড ৮২ রানে এগিয়ে রয়েছে। মঈন আলী ২৯ ওভার বল করে ১২৪ রান খরচায় নেন ২ উইকেট।