

নিয়মিতই উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবালের সঙ্গে দেখা যেতো ইমরুল কায়েসকে। তবে, এ বছরে পাল্টেছে ইমরুলের ভূমিকা। দলের হয়ে ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেটে যাচ্ছেন প্রথম উইকেটটি পতনের পর। তিনে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে খুব তবুও দলের প্রয়োজনে সফল হওয়ার জন্য খাটছেন প্রাণপণে।
উদ্বোধনী জুটিতে তামিমের সঙ্গে ইমরুল জুটিতে মোট করেছেন ২,২০৫ রান, গড়টাও অসাধারণ ৪৭.৯৩। দলের দ্বিতীয় ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ার দিনে তামিমের সাথে একপাশে ইমরুলও ছিলেন।

বিপত্তিটা বেঁধেছে এ বছরের শুরুতে। ওয়েলিংটন টেস্টে চোটের কারণে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ছিলেন না ইমরুল কায়েস। তার বদলে তামিমের সঙ্গে দলের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামা সৌম্য সরকার সংগ্রহ করেন ৮৬ রান। শ্রীলঙ্কা সফরে পেয়ে যান আরও তিন অর্ধশতক। ফলে উদ্বোধনী জুটিতে কোচের পছন্দ সৌম্যকেই, ইমরুলকে কোচ দেখতে চান তিনে।
‘কলম্বো টেস্টে আমি তিন নম্বরে নেমেছিলাম। কোচই আমাকে তিনে নামতে বলেছেন। নেটে অনুশীলন করছি সেভাবেই। উদ্বোধনী জুটি থেকে ওয়ান ডাউনে মানিয়ে নেয়াটা কষ্টের। চেষ্টা করে যাচ্ছি আমি মানিয়ে নেয়ার।’
সবসময়ই কায়েস ভোগেন একধরনের অস্থিরতায়। ‘যখন ব্যাটিংয়ে নামার জন্য অপেক্ষা করি তখন এক ধরনের অস্থিরতা কাজ করে যে কখন মাঠে যাবো। এই দিকটা মানিয়ে নিতে হয়। তামিমকেও যদি এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় তার জন্যও কঠিন হবে। আমার জন্যও কঠিন ছিল। আস্তে আস্তে মানিয়ে নিতে হচ্ছে দলের প্রয়োজনে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দলেই না থাকা মমিনুল হককে কায়েসের জন্য ছেড়ে দিতে হচ্ছে ওয়ান ডাউনের জায়গাটা। আর এ জায়গায় ইমরুল টিকে গেলে তিনে আর নামতে পারছেন না মমিনুল। তবে এ নিয়ে কিছুই বলেননি কায়েস বরং দলে সুস্থ প্রতিযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
‘ প্রতিযোগিতাটা বেশি থাকলে সেরা খেলোয়াড় বেছে নিতে সুবিধা হয়। এটা দলের জন্য যেমন ভাল তেমনি ঐ খেলোয়াড়ের পারফর্ম্যান্সের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
তিন আর উদ্বোধনী জুটির মত ব্যাপারগুলো ভুলে ইমরুল আর বাংলাদেশের চিন্তাটা নিঃসন্দেহে ক্যাঙ্গারুদের বিপক্ষে ঘরের মাঠের টেস্টে সফল হওয়ার রসদ নিয়েই। সে যাত্রায় কায়েসের তিনে দারুণ কিছু সর্বোপরী বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনবে ভাল কিছুই।