

মিরপুরে অনুষ্ঠিত একমাত্র টেস্টে আফগানদের বিপক্ষে ৫৪৬ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে তো পাহাড়সম রানের বাহার দেখিয়েছে টাইগাররা, বোলিংয়েও ছিল দুর্দান্ত। বাংলাদেশের পেসাররা মিলে পুরো ম্যাচে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। চতুর্থ ইনিংসে তাসকিন আহমেদ দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফাই-ফারের দেখা পাননি। তবে তুলে নিয়েছেন আফগানদের ৪ উইকেট। মন খারাপ হয়নি তাসকিনের, বরং দেশের মাঠে এমন উইকেটে খেলে তিনি খুশি।
চোট থেকে ফিরেছেন খুব অল্প দিন। এই টেস্টে তাসকিন আহমেদের খেলা নিয়েই ছিল ধোঁয়াশা। দল ঘোষণার পর দেখা গেল, তিন পেসারের একজন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটের দেখা পাননি বটে চতুর্থ ইনিংসে পেলেন ৪ উইকেটের দেখা। হতে গিয়েও ৫ উইকেট হয়নি, মন খারাপ লাগছে কিনা? গণমাধ্যম থেকে প্রশ্ন গেল তাসকিনের কাছে।
‘না না মন খারাপ না (৫ উইকেট)। প্রথম ইনিংসে আমি স্ট্রাগল করছিলাম.. ইনজুরি থেকে এসেই। তো আল্লাহর রহমতে দ্বিতীয় ইনিংসে আমার রিদম আগের চেয়ে ভালো ছিল। আলহামদুলিল্লাহ এটাই অনেক বড় জিনিস।’
‘ভালো লাগতেছে। সবাই দোয়া করবেন সামনে অনেক খেলা আছে, যেন সুস্থ থাকি এবং ভালো করতে পারি। সত্যি কথা বলতে প্রথম ইনিংসের পরে রিদমটা খুঁজতে একটু সমস্যা হচ্ছিল কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে সেটা ভালো ছিল। প্রসেসেই ছিলাম আসলে, মানে ভালো জায়গায় বল করা। এর বেশি কিছু নেই।’
মন খারাপের কথা তিনি না বললেও, মন কিছুটা খারাপ লাগেই। সুযোগটা এসেছিল একেবারে হাতের মুঠোয়। ৩৩ তম ওভারে বোলিংয়ে এসে জহির খানকে কট বিহাইন্ড করলেন লিটনের কাছে, হাত মেলে ছুটলেন তাসকিন। সৃষ্টিকর্তাকে জানালেন কৃতজ্ঞতা। ৫ উইকেট পাওয়ার আনন্দে যখন তিনি ভাসছেন, জহির খান নিয়েছেন রিভিউ। দেখা গেল, ব্যাটে লাগা দূরে থাক, বেশ দূর দিয়েই বল চলে গেছে কিপারের হাতে। পরের বলে সরাসরি বোল্ড। আবারো হাসলেন তাসকিন। তবে তা অল্প সময়ের জন্যই। কোমরে ওঠা বলে ‘নো’ ডেকেছেন আম্পায়ার। শেষ পর্যন্ত আর ৫ উইকেটের দেখা পাননি এই পেসার।
তবে ফাস্ট বোলার আর উইকেট কন্ডিশন নিয়ে নিজের তৃপ্তির কথা জানিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। বড় ব্যবধানের জয় আর বোলিং-ব্যাটিং দুই ডিপার্টমেন্ট যেভাবে এক্সিকিউশন করেছে- তা নিয়ে সন্তুষ্টির কথা বললেন গণমাধ্যমকে।
‘আল্লাহর রহমতে স্পোর্টিং কন্ডিশন ছিল, ব্যাটিং বোলিং দুটাতেই হেল্প ছিল। ভালো লাগছে যে একটা ভালো মার্জিনের জয় হয়েছে। দুই বিভাগে দারুণ ক্রিকেট খেলে বড় একটি জয় পেয়েছি আমরা। খুব ভালো লাগছে, এ জয়ে দলের সঙ্গে থাকতে পেরে। আল্লাহর রহমতে ফাস্ট বোলাররা আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে এবং উন্নতি করছে দেখেই এরকম উইকেট করার সাহস হয়েছে। এক্সিকিউশনও করেছি দারুণভাবে। সামনে আরও চাইব এরকম স্পোর্টিং কন্ডিশনই হোক, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে, ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগে।’