ক্যাপ্টেন্সি উপভোগ করা লিটন জানালেন, সাকিবকে ছাড়াও তাদের এগোতে হবে

ক্যাপ্টেন্সি উপভোগ করা লিটন জানালেন, সাকিবকে ছাড়াও তাদের এগোতে হবে
Vinkmag ad

টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকেই রেকর্ড গড়া জয় পেলেন লিটন দাস। তার দল পেল পাঁচ দিনের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পেরে দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত লিটন দাস। সাকিবের অভাব আছে মানেন লিটন, তবে তার মতে এই টেস্ট খেলা দলটা বাংলাদেশের সেরা দল ছিল। দলের সবাই জয়ে ভূমিকা রাখায় অধিনায়ক কণ্ঠে উঠল আনন্দ উৎসব।

১২তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়ে দারুণভাবে সফল লিটন দাস। কারণ এর আগে টেস্টে এমন বড় জয় দেখেনি দেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা। শুধুই কি দেশ; পাঁচ দিনের টেস্ট ইতিহাসে রানের বিচারে সবচেয়ে বড় জয় এখন বাংলাদেশের। আর দেড়শ বছরের টেস্ট পরিসংখ্যানে টাইগারদের এই জয় তৃতীয় অবস্থানে। আগের দুইটি জয় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার; ১৯২৮ ও ১৯৩৪ সালে।

রেকর্ড ব্যবধানে জেতার তৃপ্তি বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করছেন অধিনায়ক। লিটনের মতে, একজন অধিনায়ক এর থেকে বড় ব্যবধানে চাইতে পারেন না কখনো। এমন জয়ে ভূমিকা রাখা ব্যাটার-বোলারদের প্রশংসা করতেও ভুল করেননি লিটন,

‘অবশ্যই এটা তো যখন চাইবেন তখনই হবে না এরকম একটা ব্যবধান। এটার জন্য কৃতিত্ব ব্যাটারদের কারণ উইকেটটা  এত সহজ ছিল না। প্রতিটা ব্যাটারকে কৃতিত্ব দিতে হবে। সত্য কথা আমাদের বোলাররাও খুবই ভালো বল করেছে। লাইন-লেংথ মেনে বল করেছে। এটা টেস্ট ক্রিকেট কাজে বড় অর্জন। এরকম জিততে পারলে এর থেকে বড় কিছু চাওয়ার থাকতে পারে না। অধিনায়ক হিসেবে এর থেকে বড় ব্যবধানে চাইতে পারেন না কখনো।’

টেস্ট ক্রিকেটে এমন স্মরণীয় মুহূর্তের অন্যতম ভূমিকায় ছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস। জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আসতেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ক্যাপ্টেন্সি কেমন উপভোগ করলেন?

‘অধিনায়কত্ব খুব উপভোগ করেছি। বোলারগুলো যেভাবে আমাকে সহায়তা করেছে। বিহাইন্ড দ্য বল দেখছি যে বোলাররা বল ক্যারি করাচ্ছে। কিপিং করতেও মজা। অধিনায়ক থাকি তখন ভালো লাগে যে উইকেট পাওয়ার সুযোগ থাকে।’

‘যখন প্রথম ইনিংসে শান্ত ও জয়ের ভিত্তিতে আমরা ভালো স্কোর করলাম তখন থেকে আমরা বিশ্বাস করছিলাম প্রথম ইনিংসের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তাদের আমরা দেড়শো আগে অলআউট করেছি। কাজেই ব্যবধানটা তখনই বোঝা গেছে কোন পথে যেতে পারি। কিন্তু কঠিন উইকেট ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও আমাদের ব্যাটাররা যেভাবে কারেক্টার শো করেছে এটা সম্পূর্ণ ক্রেডিট আমাদের ব্যাটার ও বোলার; পুরো দলের।’

সাকিবের অনুপস্থিতিতে লিটন এর আগে ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই নতুনত্ব কিছু মনে হচ্ছে না লিটন দাসের। সাকিব না থাকাতে এক ধরণের ব্লেসিং হয়েছে কিনা এই টেস্টে?

লিটন দাসের উত্তর, ‘দেখেন ম্যাচের আগে হয়তবা এরকম ছিল সাকিব ভাই খেললে ভালো হত। ম্যাচের পরে আসছে যে খেললে ভালো হত কিনা। জিনিসটা এমন না, আপনার হাতে যা অ’স্ত্র আছে, যখন একাদশ সেট করে দিয়েছি। কে থাকবে না থাকবে এটা নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই। হয়ত দুই বছর পর বা চার বছর পর এমন দিন আসবে যখন সাকিব ভাই থাকবে না। বাংলাদেশ দলকে তো সামনে হবে। আমি যে দলটা খেলেছি বাংলাদেশের সেরা দল ছিল। তারা তাদের ভূমিকা পালন করেছে।’

অধিনায়কত্ব নিয়ে আগামী সময়ের জন্য কোনো পরিকল্পনা ভেবে রেখেছেন শান্ত? ‘এখন তো আপাতত এক ম্যাচের জন্য পেয়েছি। (অধিনায়কত্ব)। আশা করব সাকিব ভাই তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে। এবং তার কাছে হস্তান্তর করব। আমি আগামীতে পরে ভাবব। দেখা যাক ওটা।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

ডিপিএলের দাপুটে ফর্মে ওয়ানডে দলে ফিরলেন নাইম শেখ

Read Next

মন খারাপ হয়নি তাসকিনের, রিদম ফিরে পেয়ে বললেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’

Total
0
Share