

টানা ৪ দিন সংবাদ সম্মেলনে এলেন আফগান কোচ জোনাথন ট্রট। দলের খেলোয়াড়রা কেনো আসেন না? সেই প্রশ্নের উত্তরও দিলেন উপযুক্ত স্বরেই। জানালেন, ভাষার একটা ব্যাপার তো আছেই। আর কোচ হিসেবে নিজের দায়িত্ব থাকে, সামনে এসে যেকোনো জিনিসের ব্যাখ্যা দেওয়ার। বাংলাদেশ যে প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্ত হবে, তা আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন এই প্রাক্তন ইংলিশ ক্রিকেটার।
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান, একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ হলো আজ। আফগানদের প্র্যাক্টিস কিট গায়ে একজন ব্যক্তিকে মিরপুরের প্রেস কনফারেন্স রুমে দেখা গেল খুব ঘন-ঘন। টেস্ট শুরু হওয়ার আগের দিন এসেছিলেন। টেস্ট শুরু হওয়ার পর টানা ৩ দিন এসেছেন। তিনি আফগান কোচ জোনাথন ট্রট। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে তিনিই কেনো বারবার আসছেন, কেনো অন্যরা নয়?
ভদ্রতার ভঙ্গিতেই প্রশ্নটি করা হয় ট্রটকে। তিনিও দিলেন স্বাভাবিক উত্তর,
‘আমার মনে হয়, একজন কোচ হিসেবে এটা আপনার দায়িত্ব যে, সামনে আসা, জিনিসগুলো ব্যাখ্যা করা। আমার মনে হয়, এটা আমার কাজ। আরেকটা যে, ভাষার একটা ব্যাপার আছে। খেলোয়াড়রা খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী না এই ব্যাপারে। আর প্রশ্ন বোঝার কিছু জটিলতা আছে। মনে হয়, এটা স্নায়ুচাপজনিতও ব্যাপার। আর ওরাও (খেলোয়াড়রা) একটু লাজুক। আমি তাদের উৎসাহ দেই আসার জন্য।’
‘আশা করি ভবিষ্যতে ঠিক হয়ে যাবে। আর আরেকটা ব্যাপার যে, এই দলটা তরুণ আর অনভিজ্ঞ। আরও অন্যান্য যারা আছে, যেমন- রাশিদ, নবী, মুজিব, তারা তো প্রেস কনফারেন্সে বেশ অভ্যস্ত। তো এইটা আসলে এই দলটার জন্য নতুন একটা ব্যাপার।’
ট্রটের উত্তর বেশ যথাযথ। নতুন, তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে টেস্ট খেলতে এসেছে আফগানিস্তান।তাইতো হেড কোচকেই সবসময় সামলাতে হয় গণমাধ্যমের প্রশ্ন।
২৭ মাস পর টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামা আফগান দলের কোচ জানতেন বাংলাদেশ কতটা শক্ত প্রতিপক্ষ হবে তার দলের জন্য। ঘরের মাঠে কর্তৃত্বপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে বাংলাদেশ পারদর্শী। ইংল্যান্ডকে সিরিজ হারানোর কথাও স্মরণ করলেন কথা বলতে গিয়ে।
‘আমি জানতাম এটা কঠিন ম্যাচ হবে। সহজ কিছু ভাবিনি। আমি সচেতন ছিলাম, বাংলাদেশ কতটা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হতে পারে, সে ব্যাপারে। কিছুদিন আগেই দেখেছি, ইংল্যান্ডের সাথে কত ভালো ক্রিকেট তারা খেলেছে। জানি, আলাদা ফরম্যাট- ওডিআই, টি-টোয়েন্টি। বিশেষ করে সম্প্রতি তারা ঘরের মাঠে খুবই কর্তৃত্বপূর্ণ ও সফল সিরিজ খেলছে।’