

আফগানিস্তান টেস্ট নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে বিশেষ কিছু। ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা শান্ত হাকালেন ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি। মুমিনুলের পর প্রথমবারের মতো এক টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির স্বাদ নিলেন তিনি। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এক সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক প্রশংসায় ভাসালেন আরেক সেঞ্চুরিয়ান শান্তকে। শান্তর মতো হতে চান মুমিনুল, কিন্তু আছে বাধ্যবাধকতাও। শান্তকে দিলেন টোটকা, বললেন প্রতিনিয়ত পারফর্ম করতে পারলেই শান্ত হবে বড় খেলোয়াড়
প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে আসে ১২৪ রান। নিখুঁত ব্যাটিংয়ে এক টেস্ট ম্যাচের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করার দারুণ কীর্তি গড়লেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই অর্জনেই থেমে থাকেননি শান্ত, সেঞ্চুরির পর টেস্টে দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় শান্ত পেছনে ফেললেন শাহরিয়ার নাফিসকে।
সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের পর সাদা পোশাকের ক্লাসিক সংস্করণেও ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছোটানো শান্তর খেলা দেখে মুগ্ধ অভিজ্ঞ মুমিনুল। হতে চান তার মতো। সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন লিটন, শান্ত’র খেলা ভালো লাগে দেখতে।
‘শান্তর ইনিংস দেখলে মনে হয় খেলাটা অনেক ইজি, সব দিক দিয়ে খেলে। আমারও মনে হয় এমনে খেলি। কিন্তু আমি যেরকম ব্যাটার ওইরকম খেলা একটু কঠিন। দেখতে খুব ভালো লাগে, সুন্দর লাগে শান্ত-লিটন দু’জনেরই। শান্ত খারাপ বলটা ছাড়ে না বাউন্ডারি করে।’
শান্তর জোড়া সেঞ্চুরি মুমিনুলের চোখে অনেক বড় অর্জন,
‘দুই ইনিংস শান্ত যেভাবে খেলছে আউটস্ট্যান্ডিং। এই কন্ডিশনে যে গরম, দুই ইনিংসে একশো করাটা অনেক বড় অ্যাচিভমেন্ট।’
শান্ত নিজেও একসময় ছিলেন রানখরায়, এখন ফিরে এসে হয়েছেন ম্যাজিশিয়ান। ব্যাট হাতে শান্ত ক্রিজে আসলেই হয় রান উৎসব। আরও কিভাবে ভালো করবে শান্ত? টোটকা দিলেন মুমিনুল,
‘শান্ত ধৈর্য ধরছে, ওর প্রসেসটা ঠিক রাখছে। যেটা করার দরকার ও তা-ই করছে। সে তখনই বড় প্লেয়ার হয় যখন পারফর্ম ভালো হয়, এবং এটা চলতে থাকলে। ওর এখন রেগুলার পারফর্ম করাটা দরকার।’
শান্ত’র দুই ইনিংসে একশো দলের সবাই চাইছিল, এমনটাই জানালেন মুমিনুল।