

বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের রেকর্ড সংখ্যক ৬৬১ রানের লিড! টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৬০০ রানের বেশি প্রতিপক্ষকে টার্গেট দেওয়ার ২১ নম্বর মুহূর্তের সাক্ষী হল বাংলাদেশ। ইংলিশ ক্রিকেটের ‘বাজবল’ শান্ত-মুমিনুলরা দেখালেন মিরপুরে। শান্ত’র রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির দিন মুমিনুল হকও পেলেন স্বস্তির শতরান। সঙ্গে জাকির, লিটনের অর্ধশত।
পাঁচ দিনের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম প্রতিপক্ষকে ৬৬২ রানের এতো বিশাল টার্গেট ছুড়ে দিল কোনো দল। আগের রেকর্ডটি ছিল নিউজিল্যান্ডের দখলে, তারা ৬৬০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে লিটন দাস এন্ড কোং আফগানিস্তানকে দিল ৬৬২ রানের টার্গেট।
তৃতীয় ইনিংসে তৃতীয় বারের মতো ৪০০-এর বেশি সংগ্রহ করল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংস থেকে পাওয়া ২৩৬ রানের বড় লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা ইনিংস ঘোষণা করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪২৫ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে। আর তাতেই আফগানিস্তানের সামনে দাঁড়ায় ৬৬২ রানের পাহাড়সম টার্গেট। টপকাতে হলে আফগানিস্তানকে ভাঙতে হবে একাধিক সব বড় রেকর্ড, যা প্রায় অসম্ভবও।
মুমিনুল হক অপরাজিত থাকেন ১২১ করে, লিটন দাসের সংগ্রহে ৬৬ রান।
নাজমুল হোসেন শান্ত’র রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির পর দাপট দেখালেন মুমিনুল হক ও অধিনায়ক লিটন দাস। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থেকে চা বিরতিতে যান মুমিনুল। লিটন দাসও ছিলেন ফিফটির খুব কাছে। তখন বাংলাদেশের লিড ৬১৪ রানের।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিনের ২য় সেশনও নিজদের নিয়ন্ত্রণেই শেষ করল বাংলাদেশ। এই সেশনে ২২ ওভার খেলে কেবল শান্ত, মুশফিকের উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করল ১২৩ রান। চা বিরতিত আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের লিড দাঁড়ায় ৬১৪ তে।
চা বিরতি থেকে ফিরেই মুমিনুল হক স্পর্শ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম শতরান। ২৬ ইনিংস ও ২৫ মাস পর কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুমিনুল। এর আগে অধিনায়ক লিটন দাস ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে ৫৩ বলে পূর্ণ করেন পঞ্চাশ। অধিনায়কত্বের অভিষেকের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়া লিটন দাস ফিরলেন নিজের চেনা ছন্দে। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটি পূর্ণ করার মুহূর্তে মুমিনুলের সঙ্গে জুটিরও হয় ১০০ রান।
ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা শান্ত এর আগে হাঁকালেন ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি। মুমিনুলের পর প্রথমবারের মতো এক টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির স্বাদ নিলেন তিনি। তার এমন পারফরম্যান্সের পর ব্যাটে রান পেলেন মুমিনুল হক নিজেও। শুধুই কি রান; ফিফটি টেনে নিয়ে গেলেন শতরানে। ২৬ ইনিংস, সময়ের হিসেবে দীর্ঘ ২৫ মাস পর সেঞ্চুরির পেলেন টেস্ট ক্রিকেটে দেশ সেরা এই ব্যাটার।