

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম মুসলিম ক্রিকেটার তিনি। বয়সভিত্তিক দলে নিয়মিত পারফর্ম করেই ঢুকেছেন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে। অজিদের টপ অর্ডারের নির্ভরতার প্রতীক হবেন বলে ভাবা হচ্ছিলো তাকে, তবে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবুও সাদা পোশাকে নিজের প্রিয় তিন নম্বর জায়গা খাজাকে ছেড়ে দিয়েছেন অজি অধিনায়ক স্মিথ।

স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেও স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে বরাবরই নড়বড়ে অস্ট্রেলীয় এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। বিশেষ করে উপমহাদেশের কন্ডিশনে। আইপিএল ও জাতীয় দলের হয়ে চলতি বছর দু’দফা ভারত সফর করেছেন, বলার মত তেমন কোন পারফরম্যান্স করতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে হতাশাও কাজ করছিল নিজের মধ্যে। তবে খাজা মনে করেন স্পিনে অনভ্যস্ত যে কারও জন্যই উপমহাদেশে অফ-ফর্মে ভোগা স্বাভাবিক ব্যাপার।
খাজা বলেন, “উপমহাদেশে পরিসংখ্যান ভালো না হলেও এখানে নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই। নিজেকে প্রমাণ করার কথা ভাবিও না আমি। আমি শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবি না। এটা ঠিক যে, সাইডলাইনে বসে থাকাটা খুবই কষ্টদায়ক। তবে এও ভালো যে এমনটা ঘটছে এখন। আট বছর আগের সময়টায় নয়”
আইপিএলে দলে থেকেও সেভাবে সুযোগ না পাওয়াই হতাশা কাজ করছিল জানিয়ে উসমান খাজা বলেন, “দেশে ফিরে আবার সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে আমার কাছে। ভারতে হতাশায় দিন কাটছিল আমার। সেখানে অনেকদিন ছিলাম। তবে দেশে ফিরে নিজ বিছানায় ঘুমিয়ে ও ব্রিসবেনে পরিচিত মাঠে অনুশীলনে ব্যস্ততা নিয়ে ঠিক হয়ে যায় সবকিছু”
উপমহাদেশে নিজের নড়বড়ে পারফরম্যান্সের কথা খাজা অকপটে স্বীকার করে নিয়ে বলেন। শুধু তিনিই না, যেকোনো অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের জন্যই এমন পরিবেশে ভালো করা খুবি কঠিন, “এটা হতাশার, তবে এটাও ঠিক আমি স্পিন সহায়ক পিচে খেলার সুযোগ পাইনি তেমন। যে কোনো অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের জন্যই এমন কন্ডিশনে খেলাটা কঠিন হবে। কারণ এতে অভ্যস্ত নই আমরা”