

সিলেটে স্বাগতিকদের চেয়ে ব্যাটে বলে এগিয়ে ক্যারিবীয় ‘এ’ দল। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের দুই ইনিংসে ফিফটি মাত্র ৩টি, আর ২য় টেস্টে এখন পর্যন্ত চারটি। জাতীয় দলে খেলে যাওয়া ক্রিকেটারদের এমন পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হতে পারেননি হাবিবুল বাশার সুমন। তবে শাহাদাত হোসেন দিপুর অনবদ্য ব্যাটিং মনে ধরেছে নির্বাচক বাশারের।
ক্যারিবীয় পেসারদের বিরুদ্ধে সিলেটে ‘এ’ দলের ব্যাটারদের ব্যর্থতা চোখে পড়েছে। প্রথম টেস্টে লড়াই করলেন কেবল সাইফ, জাকের, সাদমান। ২য় টেস্টে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন। শাহাদাত হোসেন তো পরপর দুই ইনিংসেই হাঁকিয়েছেন ফিফটি।
দুর্দান্ত সব তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া এই দলের কাছ থেকে আরও ভালো পারফর্ম আশা করছিলেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার।
‘এক্সপেকটেশন একটু বেশি। এই দলে কিন্তু কিছু কারেন্ট প্লেয়ার খেলছেন। কিছু ফিউচার প্লেয়ার খেলছে। তাদের কাছে ফোর ডে ম্যাচের ব্যাটিং প্রত্যাশা একটু বেশি ছিল। অবশ্যই বলতে হবে, আমরা যথেষ্ট পাই নাই। বাট আরও একটা ইনিংস ম্যাচ বাকি আছে। আশা করি, আমাদের সেই প্রত্যাশাটা পূরণ করতে পারবে।’
দিপুর নিখাদ টেস্ট ব্যাটিং রীতিমতো মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। ২য় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে নিজে খেলেছেন সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস। ২য় ইনিংসে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালিয়ে বাড়িয়েছেন দলের লিড। ৬৮ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে ফিরেন প্যাভিলিয়নে।
শাহাদাত হোসেন দিপুকে তাই প্রশংসায় ভাসাতে ভুল করেননি হাবিবুল বাশার সুমন। দিপুর নান্দনিক ব্যাটিং ডিসপ্লেতে খুশি বাশার। জানালেন, ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে আসবে বড় ডাকও।
‘হি লুকড অর্গনাইজড। লঙ্গার ভার্সনে যে রকম ব্যাটিং করতে হয়, দিপুকে দেখে ওই রকম মনে হয়েছে। ভেরি অরগানাইজড, টেকনিকেও বেশ ভালো। ওর ব্যাটিং বেশ ইম্প্রেসিভ। উইকেটটা কিন্তু অত সহজ ছিল না। কারণ, সিলেটে দুই ম্যাচেই ৬ মিলি গ্রাস রেখেছি। বেশ সিমিং কন্ডিশন। এই কন্ডিশনে কে কেমন ব্যাটিং করে দেখার বিষয় ছিল। দিপু তো ভালো ব্যাটিং করছে অনেক দিন ধরেই। আমাদের ফাস্ট ক্রিকেটেও ভালো ব্যাটিং করেছেন। সিমস লাইক, এইভাবে কন্টিনিউ করতে পারলে ভালো প্লেয়ার হতে পারে ফিউচারের জন্য।’