

এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টস। মুম্বাইয়ের দেয়া ১৮৯ রানের লক্ষ্য পূরণ করতে না পেরে ৮১ রানে হেরে এবারের আসর থেকে বিদায় নেয় লখনৌ। ৬৯ রানে ২ উইকেট থেকে হঠাৎই ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১০১ রানে অলআউট লখনৌ। আইপিএলে প্লে অফের ইতিহাসের সেরা বোলিং করে আকাশ মাধওয়াল। মাত্র ৫ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।
চেন্নাইয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না মুম্বাইয়ের জন্য। নাভীন উল হকের বলে নিজের উইকেট দিয়ে সাজঘরের পথে হাঁটা ধরেন রোহিত শর্মা। আরেক ওপেনার ইশান কিশানের ব্যাটেও রান নেই। পরের ওভারেই ইয়াশ ঠাকুরের বলে ১৫ করে আউট হন তিনি। মিডল অর্ডারে ক্যামেরুন গ্রিন এবং সুরিয়া কুমার যাদবের আগ্রাসী ব্যাটিং। তবে দুজনের কেওই নিজের ইনিংস বড় করতে পারেনি। ক্যামেরুন গ্রিন ২৩ বলে ৪১, সুরিয়া কুমার ২০ বলে ৩৩, তিলক ভার্মা ২২ বলে ২৬ করে আউট হন। এবং মিডল অর্ডারের এই তিন ব্যাটারকেই আউট করেন নাভিন উল হক।
শেষে নেহাল ওয়াধেরা ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে দলের রান যত পারেন বাড়াতে চেষ্টা করেছেন। তার সাথে থেকে টিম ডেভিডও কিছু রান করেছেন। ওয়াধেরা ১২ বলে ২৩ করে আউট হলে দলের রান আর তেমন বাড়ে নি। ৮ উইকেটে ১৮২ রানে থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস।
অসাধারণ বোলিং করে লখনৌর বোলাররা সফলতা পেলেও ভরপুর রানও দিয়েছেন। নাভিন উল হকের ৪টির পাশাপাশি ইয়াশ ঠাকুর ৩টি এবং মহসিন খান ১টি উইকেট পান।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উইকেট বুঝে উঠার আগেই উইকেট পড়তে শুরু করে লখনৌর ব্যাটারদের। দলীয় ১২ রানে প্রেরার্ক মানকাড সাজঘরের পথে। কাইল মায়ার্সও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার খেলাটা খেলতে পারেনি। ১৩ বলে ১৮ করে জর্ডানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ। বোলিংয়ে তার ভুমিকা যেমন আলো ছড়ায়নি, ব্যাটিংয়েও তিনি রান করে দলকে জয়ের পথ দেখাতে পারেনি।
মিডল অর্ডারে মার্কাস স্টয়নিসের ২৭ বলে ৪০ রান ছিল লখনৌর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। এরপর কেবল দীপক হুদাই দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছিলেন। মুম্বাইয়ের বোলিং তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে লখনৌর ব্যাটিং লাইন আপ। এছাড়া তিন জন ব্যাটার রান আউটের শিকার হন। শেষ পর্যন্ত ১৭তম ওভারেই মাত্র ১০১ রানে গুটিয়ে যায় লখনৌ সুপার জায়ান্টস।
মুম্বাইয়ের হয়ে মুহূর্তের মধ্যে খেলা ঘুরিয়ে দেন আকাশ মাধওয়াল। ২১ বল করে মাত্র ৫ রান হজম করে নেন ৫ উইকেট যা আইপিএলের প্লে অফের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা বোলিং। বাকি ২টি উইকেটের একটি পান ক্রিস জর্ডান এবং অপরটি নেন পীযুষ চাওলা। আজকের ম্যাচ সেরা হন আকাশ মাধওয়াল।