

আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সফল অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। ১৪ আসরে চেন্নাই সুপার কিংসকে নেতৃত্ব দিয়ে ১০ বারই ফাইনালের মঞ্চে নিয়ে যান তিনি। গতকাল রাতে আইপিএলের ১৬ তম আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়ে ১৫ রানে হারিয়ে পঞ্চম শিরোপায় চোখ রাখছে ধোনি।
চেন্নাইয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মুখোমুখি গুজরাট টাইটান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার। যেমনটা দেখে এসেছে দর্শক পুরো আসরজুড়ে, চেন্নাইয়ের উদ্বোধনী জুটি সবসময়ই ভালো শুরু এনে দিয়ে আসছে আসরের প্রথম ম্যাচ থেকেই। গতকালও তার ব্যতিক্রম ছিল না। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৮৭ রান। রুতুরাজ গায়েকোয়াদ ৪৪ বলে ৬০ করে ফিরে গেলেও কনওয়ে তার ধারাবাছেট হিকতা বজায় রেখেছিলেন। পরের ওভারেই নুর আহমেদের বলে ১ করে ফিরে যান শিভাম দুবে।
আজিঙ্কিয়া রাহানে এবং আম্বাতি রায়ডু উইকেটে টিকে তাকতে পারে নি। দুজনেই ১৭ রান করে সাজঘরে হাঁটা ধরেন। ততক্ষণে ৩৪ বলে ৪৪ করার পর মোহাম্মদ শামির বলে ডেভন কনওয়ের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। পরক্ষণেই ব্যাটিংয়ে ভয়ংকর হতে থাকা ১৬ বলে ২২ করা রবীন্দ্র জাদেজাকে মোহাম্মদ শামি বোল্ড করেন। মঈন আলী এবং ধোনি ব্যাটিংয়ে নামলেও খুব বেশি রান করতে পারে নি। ২০ ওভার শেষে বোর্ডে চেন্নাইয়ের স্কোর ৭ উইকেটে ১৭২।
গুজরাটের সব বোলাররাই সফলতা পেয়েছে। মোহিত শর্মা এবং মোহাম্মদ শামি পেয়েছেন ২টি করে উইকেট এবং দর্শন নালকান্দে, রাশিদ খান, নুর আহমেদ পান ১টি করে উইকেট।
ফাইনালে উঠার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে গুজরাটের ব্যাটাররা। দুই মাসের আসর শেষ হয়ে গেলেও প্রতি ম্যাচে সুযোগ পেয়েও ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাটে রানের খরা কাটলো না। মাত্র ১২ করে দিপক চাহারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আরেক ওপেনার শুভমান গিলও চাহারের শিকার। গিল আউট হন ৩৮ বলে ৪২ করে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হার্দিক ব্যাটে ঝড় তুলতে পারেনি। শ্রীলংকান অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা রানের দেখ পেলেও অল্প সময়ই উইকেটে টিকতে পেরেছিলেন।
মিডল অর্ডার, ফিনিশারের কারো ব্যাট থেকেই কোনো লম্বা ইনিংস আসে নি। ডেভিড মিলার, রাহুল তেওয়াটিয়া, বিজয় শঙ্করের বিরতিহীন উইকেট পরার পর দলকে ম্যাচে ফেরানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন রাশিদ খান। তার একার ১৬ বলে ৩০ রানের ইনিংস ম্যাচ জেতাতে পারে নি। ২০ ওভারের শেষ বলে ১৫৭ রানে অলআউট গুজরাট টাইটান্স।
আজ চেন্নাইয়ের সব বোলারও উইকেটের দেখা পেয়েছেন। দিপক চাহার, মহেশ থিকসানা, রবীন্দ্র জাদেজা, মাথিসা পাথিরানা পান ২টি করে উইকেট এবং তুষার দেশপান্ডে নেন বাকি ১টি উইকেট। আজকের ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় বিবেচিত হন রুতুরাজ গায়েকোয়াদ।