

গুজরাট টাইটান্স প্রথম দল হিসেবে শেষ চারে নিজেদের জায়গা পোক্ত করে নিয়েছে। দুই এবং তিনে আছে চেন্নাই সুপার কিংস এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টস। গুজরাটের সাথে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (আরসিবি) ম্যাচের ভাগ্যই বলে দিয়েছে ৪র্থ দল হিসেবে প্লে অফ খেলতে কোন দল টিকে থাকবে। শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ্গালোর ৬ উইকেটে হেরে যাওয়ায় এবারের আসর থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে ভিরাট কোহলিদের। দাপুটে সেঞ্চুরি করে শুবমান গিল বিদায় করে দেন আরসিবিকে।
ব্যাঙ্গালোরে গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে টস জিতে বোলিং বেছে নেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। পাওয়ারপ্লেতে ভিরাট কোহলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস মিলে করেন ৬২ রান। এমন যুতসই শুরুর পর মুহূর্তের মধ্যেই রাশিদ খান এবং নুর আহমেদের ঘূর্ণিতে ৩ উইকেট হারায় ব্যাঙ্গালোর। অধিনায়ক ডু প্লেসিস ১৯ বলে ২৮ করে আউট হলেও এখন পর্যন্ত তিনিই অরেঞ্জ ক্যাপ হোল্ডার।
মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৬ বলে ২৬ করে মোহাম্মদ শামির বলে আউট। আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৭ বার ০ রানে আউট হওয়ার লজ্জাজনক রেকর্ড এখন দীনেশ কার্তিকের। গতকাল ইয়াশ দয়ালের বলে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর তিনি এ রেকর্ড স্পর্শ করেন। শেষ দিকে এসে অনুজ রাওয়াত ভিরাট কোহলির সাথে জুটি বেঁধে দলের জন্য বড় স্কোর করতে অনেকটা অবদান রাখেন। কোহলি আইপিএলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭টি সেঞ্চুরির মালিক বনে যান। আজ ৬১ বলে ১০১ করে টানা দুই ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি করলেন ভিরাট কোহলি। অনুজ রাওয়াত ১৫ বলে ২৩ করলে ইনিংস শেষে বোর্ডে ব্যাঙ্গালোরের স্কোর ৫ উইকেটে ১৯৭।
গুজরাটের মোহিত শর্মা বাদে বাকি সব বোলাররা সফলতা পেয়েছে। নুর আহমেদ ২টি এবং মোহাম্মদ শামি, ইয়াশ দেয়াল, রাশিদ খান প্রত্যেকে পান ১টি করে উইকেট।
লক্ষ্য পূরণ করতে নেমে গুজরাটের ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাট আজও হাসে নি। দলীয় ২৫ রানেই মোহাম্মদ সিরাজের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। এরপরের জুটিতে শুবমান গিল এবং বিজয় শঙ্কর মিলে করেন ১২৩ রান। ৩৫ বলে ৫৩ করে বিজয় শঙ্কর আউট হলেও তখনও থামে নি গিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডেভিড মিলার এবং দাসুন শানাকার উইকেট পড়লেও ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। গিলের ব্যাটিং ঝড়ে জয় থেকে কিছুটা দূরে গুজরাট।
গতকাল ম্যাচে এবারের আসরে শুবমান গিল করেন নিজের ২য় সেঞ্চুরি। একবারে মারমার কাটকাট ২০০.০০ স্ট্রাইক রেটে ৫২ বলে ১০৪ করে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন গিল। ৫ বল বাকি থাকতেই গুজরাট ম্যাচ জিতে যায় ৬ উইকেটে।
ব্যাঙ্গালোরের বোলাররা যথাসাধ্য চেষ্টা করেও গিলকে আটকাতে পারেনি। গিল ঝড়ে ডাদের প্লে অফ খেলাটা আর হলো না। হারশাল পাটেল এবং বিজয় কুমার ভাইসেক ১টি করে উইকেট পান এবং ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ। আজকের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন শুবমান গিল।