

কোলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য প্লে অফের দরজা উন্মুক্ত থাকলেও শেষ চারে ঢুকতে হলে করতে হতো অসাধ্য সাধন। নেট রান রেট হিসেব করে দেখা গেলো ৯ ওভারে যদি ম্যাচ জিততে না পারে তবে এবারের মতো আইপিএল আসর থেকে বিদায় নিতে হবে শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দলকে। ওদিকে ম্যাচ জিতলেই তিন নম্বর জায়গাটা লখনৌ সুপার জায়ান্টসের। ৯ ওভার শেষে কোলকাতার প্লে অফ সম্ভাবনা শেষ হলেও লখনৌকে ছেড়ে কথা বলে নি তারা। জয়ের জন্য শেষ বল পর্যন্ত লড়ে গেছে নাইট রাইডার্স।
ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত অধিনায়ক নিতিশ রানার। শুরু থেকেই কোলকাতার বোলারদের দাপটে উইকেট বাঁচিয়ে খেলার চেষ্টা লখনৌর ব্যাটারদের। দলীয় ১৪ রানে করন শর্মার উইকেটের পর কোলকাতার বোলাররা আরও আত্মবিশ্বাসী। কুইন্টন ডি কক এবং প্রেরাক মানকাড জুটি বেঁধে দেখেশুনে খেলছিলেন। সেই জুটি ভয়ানক হওয়ার আগেই বৈভব আরোরার আঘাত। প্রেরাক মানকাড ফেরেন ২০ বলে ২৬ করে। ঐ ওভারেই আরোরার বলে শূন্য রানে আউট মার্কাস স্টয়নিস।
কুইন্টন ডি কক এবারে ক্রুনাল পান্ডিয়ার সাথে জুটি বাঁধতে গেলে ক্রুনাল ৮ বলে ৯ করে সাজঘরের পথে। পরের ওভারেই ডি কক ২৭ বলে ২৮ করে বিদায় নিলে দলের হাল ধরেন ফিনিশার নিকোলাস পুরান এবং আয়ূশ বাদোনি। তাদের ৭৪ রানের জুটিতে আবারো ম্যাচে ফিরে আসে লখনৌ। বাদোনি ২১ বলে ২৫ করে আউট হলেও থামে নি পুরান। তার ৩০ বলে ৫৮ রানের ইনিংসের উপর ভর করে লখনৌ ৮ উইকেটে ১৭৬ রানের সংগ্রহ পায়।
১১তম ওভারেই মাত্র ৭৩ রানে লখনৌর ৫ উইকেট ফেলে দিলে বোঝাই যাচ্ছিল আজ কোলকাতা জয়ের জন্য আট ঘাট বেঁধে নেমেছে। তবুও শেষদিকে পুরান ঝড়ে সব পরিকল্পনা ভেসে যায়। সুনীল নারাইন, শারদুল ঠাকুর, বৈভব আরোরা পান ২টি করে উইকেট এবং হারশীত রানা, বরুণ চক্রবর্তী পান ১টি করে উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু উদ্বোধনী দুই ব্যাটারের। ৬১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ভেঙ্কটেশ আইয়ার ২৪ করে আউট হলে। ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে ব্যক্তিগত ৪৫ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন জেসন রয়। মিডল অর্ডারে নিতিশ রানা এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ দাঁড়াতেই পারেনি।
শেষদিকে ফের রিংকু সিং এর উপরই ভরসা। তার সাথে জুটি বেঁধে দলের হাল ধরতে ব্যর্থ আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, শারদুল ঠাকুর। তবুও নিজের জায়গা থেকে শেষ বল পর্যন্ত সজোরে ব্যাট চালিয়েছেন রিংকু সিং। শেষ ১২ বলে যখন ৪১ দরকার জয় পেতে মরিয়া রিংকুর ব্যাট। ছয় চারে ম্যাচ জয়ের আশা তখনও বাঁচিয়ে রেখেছিল। ম্যাচ জিততে শেষ তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকাতে হবে রিংকুকে। নিজের সেরাটা দিলেও ১ রানে হেরে যায় কোলকাতা। রিংকুর ৩৩ বলে ৬৭ রানের পর ৭ উইকেটে ১৭৫ এ থামে কোলকাতার ইনিংস।
লখনৌর রবি বিষ্ণয়, ইয়াশ ঠাকুর ২টি করে এবং ক্রিশ্নাপ্পা গৌতম এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া নেন ১টি করে উইকেট। লখনৌর ম্যাচ জয়ে সেরা খেলোয়াড় হন নিকোলাস পুরান।