বাংলাদেশ ভুলে গেলেও আশরাফুল, ইমরুলদের ভুলেনি বিশ্ব

20230520 140350 scaled
Vinkmag ad

মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম! নামটা বাংলাদেশ ক্রিকেট পাড়ায় এখন আর হাক ডাক তোলে না। ইমরুল কায়েসও জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া লীগ আর বিপিএল দিয়েই নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। মুস্তাফিজ, শান্তদের পেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ওদের অবদান আমরা ভুলতে বসলেও, ভুলেনি বিশ্ববাসী। ক্রিকেট যে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে আলাদা পরিচয় এনে দিয়েছে তা কেবল দেশের বাইরে পা দিলেই বোঝা যায়।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কোয়াবের এজিএম অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তার লন্ডন ভ্রমণের স্মৃতিচারণ করেন। সেখানে এক প্রজেন্টেশনে বিভিন্ন নিদর্শন, এটা সেটা দেখিয়ে বাংলাদেশকে তুলে ধরছিলেন। তবে তার প্রজেন্টেশন স্লাইডে আশরাফুলের একখানা ছবি ভেসে উঠলে বিসিবি বসকে আলাদা করে আর কিছু বলার লাগেনি। উপস্থিত সকলের চোখ মুখ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে আশরাফুলকে তারা মনে রেখেছে। কেমন করেই বা ভুলবে তাকে। বিশ্বক্রিকেটে সেদিনের সেই ১৭ বছর ৬১ দিনের ছোট্ট যুবকের সর্বকনিষ্ঠ হয়ে করা সেঞ্চুরির রেকর্ড এখনো কেউ ভাঙত পারে নি। তখনকার দিনে আশরাফুলের ব্যাটই বাংলাদেশকে ক্রিকেটের আলাদা পরিচয় এনে দিয়েছিল।

পাপন আবেগপ্রবণ হয়ে তখন আরেকটি ঘটনা সামনে আনলেন। তিনি একবার লন্ডনে ডাক্তার দেখাতে গেলে সেখানে তার পরিচয় পাওয়ার পর ডাক্তার সোজাসোজা বলেই ফেললেন বাংলার এক ক্রিকেটারকে নাকি তার খুব পছন্দ। তখন সে তার বাংলাদেশের প্রিয় খেলোয়াড় ইমরুল কায়েসের হালচাল জিজ্ঞেস করলেন।

সারা বিশ্বে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এমন ভক্ত সমর্থক দেখে তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি শেষ হওয়া আয়ারল্যান্ড সিরিজ প্রসঙ্গ টেনে বলেন,

‘আয়ারল্যান্ডে তখন এত শীত; আমি ৫ মিনিট বারান্দায় দাঁড়াতে পারছিলাম না। অথচ পুরো মাঠ কিন্ত দর্শকে ভরা এবং সেখানে বাংলাদেশি সমর্থকদের ভীড় চোখে পড়ার মতো। প্রবাসী বাংলাদেশি তো বটেই অনেক বিদেশিরাও শুধু বাংলাদেশের খেলা দেখতে আসে।’

নাজমুল হাসান পাপন ক্রিকেট দলকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পাইপলাইন মজবুত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং যার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো বিকল্প নেই। তিনি স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন প্রতিবছর অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৮, ইয়ুথ ক্রিকেট লিগে ১৩৭২টা ম্যাচ হয়। এবং ক্রিকেট কার্নিভালে ৭২টি ভিন্ন ভেন্যুতে অনূর্ধ্ব-১২ এর খেলা চালানো হয়। সবমিলিয়ে ১৪০০০ তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ চলছে। এছাড়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), ফার্স্ট ডিভিশন, সেকেন্ড ডিভিশন, থার্ড ডিভিশনে ৫৪৩টা ম্যাচে ১৮০০ খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করছে এবং ক্রিকেটাররাও এখানে উত্তরোত্তর উন্নতি করছে বলে জানান নাজমুল হাসান পাপন।

৯৭ ডেস্ক

Read Previous

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের কোয়াবের নেতৃত্বে দুর্জয়-দেবব্রত

Read Next

আন্দোলনের পরও কেন সাকিব-তামিম’রা দূরে?

Total
0
Share