

আজকের ম্যাচের আগে পাঞ্জাব কিংসের সামনে শেষ চারে জায়গা করে নেয়ার জোর সম্ভাবনা ছিল।ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হেরে পাঞ্জাবের প্লে অফ খেলা এখন ভাগ্যের হাতে। ধর্মশালায় রান বন্যার পর ক্যাপিটালস ম্যাচ জিতে ১৫ রানে।
নিয়ম রক্ষার জন্য বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পাঞ্জাবের সাথে আজকের ম্যাচে টস হারার পর ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় ক্যাপিটালস ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার। পৃথ্বী শ’এর সাথে ক্যাপ্টেনের দুর্দান্ত শুরু। চোখ ধাঁধানো চার ছক্কার মারে উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৯২ রান। ডেভিড ওয়ার্নার তার জায়গা থেকে ৩১ বলে ৪৬ করে স্যাম কারেনের বলে আউট হন। টুর্নামেন্টের শেষ বেলায় এসে জ্বলে উঠেন আরেক ওপেনার পৃথ্বী শ। ৩৮ বলে ৫৪ করে তিনিও স্যাম কারেনের বলে আউট হন।
এরপর পাঞ্জাব বোলাররা উইকেট ফেলতে পারেনি। রাইলি রুশো এবং ফিল সল্টের ব্যাটে তখন রানের ফুলঝুরি। ২২১.৬২ স্ট্রাইক রেটে ৩৭ বলে ৮২ করে অপরাজিত থাকেন রাইলি রুশো। ফিল সল্ট করেন ১৪ বলে ২৬। সবজি দিল্লির সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১৩।
পাঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে কেবল স্যাম কারেনই সফলতা পান। তার দুইটি উইকেটের পর বাকি বোলাররা ছিল বেশ খরুচে এবং উইকেটশূন্য।
বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় পাঞ্জাব। দলের এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও রান করতে পারলেন না ক্যাপ্টেন শিখর ধাওয়ান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাকের স্বাদ নিয়ে সাজঘরের পথে ধাওয়ান। শুরুর সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠে ধীরে ধীরে এগোতে থাকে সিমরান সিং এবং আথর্ভ তাইদে। সিমরান সিং ২২ করে বিদায় নিলেও হাল ছাড়েন নি তাইদে। তবে ৫৫ করার পর আচমকা রিটায়ার্ড হার্ট নিয়ে সাজঘরের দিকে হাঁটা ধরেন তিনি।
দলের এমন পরিস্থিতিতে একাই ব্যাট হাতে দিল্লির বোলারদের জবাব দিতে শুরু করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তাকে সঙ্গ দিয়ে আর কোনো ব্যাটার রান করতে না পারলেও তিনি একাই দলকে টেনে তুলে জয়ের স্বপ্ন দেখান। তার প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেটের ব্যাটিংয়ে একটা সময় মনে হচ্ছিল পাঞ্জাব হয়তো জিতে যাবে। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত লড়ে ৪৮ বলে ৯৪ করে লিভিংস্টোন আউট হন। ৮ উইকেটে ১৯৮ রানে পাঞ্জাবের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে দিল্লির বোলাররা যথাসময়ে প্রতিরোধ গড়ে আটকে দেয় পাঞ্জাবকে। আনরিখ নরকিয়া এবং ইশান্ত শর্মা ২টি করে এবং খলিল আহমেদ এবং আক্সার পাটেল পান ১টি করে উইকেট। দিল্লির এ ম্যাচ জয়ে সেরা খেলোয়াড় হন রাইলি রুশো।