

ম্যাচের ১৭তম ওভার শেষে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের রান তখন ৩ উইকেটে ১২৩। ২০ ওভার শেষে সেই সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৭। ক্রিস জর্ডানের ১৮তম ওভারে মার্কাস স্টয়নিস নেন ২৪ রান। শেষ ৩ ওভারে লখনৌর আসে ৫৪ রান। এবারে মুম্বাইয়ের জিততে শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিল ৩৯ রান। শেষ ৬ বলে যখন মাত্র ১১ দরকার, ক্রিজে ছিলেন টিম ডেভিড এবং ক্যামেরুন গ্রিন জেতাতে পারেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। লখনৌ জিতে যায় ৫ রানে।
লখনৌতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। জায়ান্টসের শুরুটা ভালো হয়নি তেমন। কাইল মায়ার্সের পরিবর্তে কুইন্টন ডি ককে সাথে দীপক হুদা ইনিংস শুরু করেন। দলীয় ১২ রানেই দিপক হুদা সাজঘরের পথে। ঠিক পরের বলেই গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় প্রেরাক মানকাড।
ক্যাপ্টেন ক্রুনাল পান্ডিয়া দলের হাল ধরে এগিয়ে যেতে শুরু করলে ডি কক বেশিক্ষণ তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ১৬ করে পীযূষ চাওলার বলে আউট হন তিনি। ক্রুনাল পান্ডিয়া খুব সাবধানে ব্যাট চালাচ্ছিলেন। কিন্ত ৪৯ করে হঠাৎই তাকে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। ইনিংসের বাকি অংশে মার্কাস স্টয়নিসের ব্যাটে চার ছক্কার বিনোদনে আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠে লখনৌর দর্শকেরা। তার ৪৭ বলে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংসের পর লখনৌর সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৭৭।
নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেও শেষে বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে মুম্বাই বোলাররা। শেষ ৩ ওভারের রানের কারণেই অনেকটা এগিয়ে যায় লখনৌ। মুম্বাইয়ের জেসন বেহরেনডর্ফ ২টি এবং পীযুষ চাওলা ১টি উইকেট নেন।
শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে ১৭৮ রানের লক্ষ্য পূরণ করতে নেমে রোহিত শর্মা এবং ইশান কিশানের উড়ন্ত সূচনা। ৯০ রানের জুটি ভাঙে রোহিত শর্মা ৩৭ করে ফিরে গেলে। আরেক ব্যাটার ইশান কিশান নিজের ফিফটি পূরণ করেই বড্ড অশান্ত হয়ে পড়েন। বড় শট খেলতে যেয়ে ক্যাচ দিয়ে ৫৯ করে ফেরেন ইশান কিশান। সুরিয়া কুমার যাদব ৭ করে ইয়াশ ঠাকুরের বলে বোল্ড হন।
মিডল অর্ডারে নেহাল ওয়াধেরা এবং টিম ডেভিড ধীরে ধীরে মুম্বাইকে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে থাকেন। তবে তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় ওয়াধেরা ১৬ করে আউট হলে। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকেও টিম ডেভিড আর মুম্বাইকে ম্যাচ জেতাতে পারে নি। ১৭২ রানে থামে মুম্বাইয়ের ইনিংস।
রবি বিষ্ণয় এবং ইয়াশ ঠাকুর নেন ২টি করে উইকেট। বাকি ১টি উইকেট পান মহসিন খান। লখনৌর ৫ রানের আজকের এ জয়ে ম্যাচ সেরা মার্কাস স্টয়নিস।