তামিমের মতে, শান্ত-মুস্তাফিজের বলেই খেলা ঘুরেছে

featured photo updated v 15
Vinkmag ad

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালের বক্তব্য, তিনি মুগ্ধ হয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদের বোলিংয়ে। শান্তকে বোলিংয়ে আনার পেছনে কাজ করেছে মিরাজের পারফরম্যান্স। তামিমের মতে, ম্যাচ বাংলাদেশের পক্ষে এসেছে শান্ত আর মুস্তাফিজের শেষের ওভারগুলোতে।

মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং ফিগার বিশেষ এক ধন্যবাদ পেতেই পারে। কিন্তু অধিনায়ক তামিম ইকবাল পুরো ইউনিটকেই ভাসালেন প্রশংসায়,

‘বোলিং ইউনিট এখান থেকে যে আত্মবিশ্বাস পাবে তা সত্যিই দারুণ কিছু হবে। বোলারদের ব্যাপারে আমি অনেক খুশি। যেই আজকে বোলিং করেছে সেই নিজের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করেছে। ২৭৪ রান এমন মাঠে ডিফেন্ড করাটা সহজ ছিল না। কিন্তু আমরা কাজটা দারুণভাবে করেছি।’

ম্যাচের শেষ ওভারে হাসান মাহমুদের আগুন বোলিংয়ের কল্যাণে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় বাংলাদেশের। জয়ের জন্য শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ছিল ১০ রানের। হাসান মাহমুদ ৪ রান খরচ করলে ৫ রানে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ। তুলে নেন দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট, তাতেই হয়ে যান ম্যাচের নায়ক।

ম্যাচ শেষে তাই স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়কের প্রশংসা বন্যায় ভাসলেন তরুণ হাসান মাহমুদ।

‘সে (হাসান) এখানে যেভাবে বোলিং করছে তা বিশ্বমানের। বিশেষ করে নতুন বলে সে মনোমুগ্ধকর ছিল। ডেথ ওভারেও (ভালো করছে)। সে খুবই তরুণ একজন ক্রিকেটার। কিন্তু তার মধ্যে অনেকটা পুরনো উত্তাপ আছে। চাপের মুহূর্তে সে অনেক শান্ত থাকে। তার জন্য এটা অনেক ভালো শিক্ষাও বটে। আপনি অনুশীলনে হাজারটা বল করতে পারবেন কিন্তু এমন চাপের মুহূর্তে পারফর্ম করাটা ভিন্ন কিছু। সে অবশ্যই অনেক কিছু শিখবে (এখান থেকে)।’

নাজমুল হোসেন শান্তকে বোলিংয়ে আনতেই মিলে সাফল্য। ৪২ তম ওভারে শান্ত নিজের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে এনে দেন স্বস্তি। টেক্টর-টাকারের জুটিতে জয়ের পথে ছুটতে থাকা আইরিশদের বিপাকে ফেলে দেন শান্ত। ক্যাচ বানিয়ে ফেরান হ্যারি টেক্টরকে। পরে অবশ্য শান্ত আরও দু’টি ওভার করেন।

মিরাজের পারফরম্যান্স দেখেই শান্তকে বোলিংয়ে এনে অধিনায়ক তামিমের বাজিমাত।

‘আসলে শান্তকে বোলিং দেওয়ার কারণ ছিল মিরাজ যেভাবে বল করেছে। এর ফলেই আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম শান্তকে দেখতে। আমি চান্স নিয়ে দেখলাম এক ওভারের জন্য তবে সে দারুণ বোলিং করে প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়ে যায়। এজন্য তাকে দিয়ে করানো হয়েছে ২-৩ ওভার। শেষ ৩ ওভারে গিয়ে আমাকে থামতে হয়েছে। ওর ৩ ওভার এবং মুস্তাফিজের ওভার খেলাটা পুরো ঘুরে গেছে হচ্ছে এই জায়গায়।’

বল হাতে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট দখলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান, ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৪৪ রান খরচায়। মেহেদী হাসান মিরাজ ৩.৮০ ইকনোমিতে নেন ১ উইকেট।

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

নিজের ব্যাটে রান ও দলের পারফরম্যান্সে খুশি তামিম

Read Next

শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য আফগানদের শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা

Total
0
Share