

ডিপিএল (ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ) ২০২২-২৩ এর সুপার লিগের শেষ ম্যাচ, আবাহনী লিমিটেড ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মধ্যকার লড়াই রূপ নিয়েছিল অঘোষিত ফাইনালে। জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত এমন সমীকরণের ম্যাচ হয়েছে রোমাঞ্চকর। শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে আবাহনী লিমিটেড।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সামনে সুযোগ ছিল টানা শিরোপা জয়ের। তবে তারকাখচিত আবাহনীর বিপক্ষে ৪ উইকেটে হারে সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাদের। ঢাকা লিগে সবমিলে ২২ তম শিরোপা আবাহনী লিমিটেডের। ঢাকা লিগ লিস্ট এ ক্রিকেটের মর্যাদা পাবার পর এটি আবাহনীর ৫ম শিরোপা।
View this post on Instagram
২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ টানা ৩ মৌসুমে শিরোপা জেতা আবাহনী গেল মৌসুমে শিরোপা খুইয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছেই। প্রথমবারের মত ঢাকা লিগে শিরোপা জিতেছিল শেখ জামাল। সেই শেখ জামালকে হারিয়েই এবার শিরোপা পুনরুদ্ধার করল আবাহনী। ক্রিকেটার, ম্যানেজমেন্ট, দর্শকদের উদযাপন তাই বাঁধনহারা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অঘোষিত ফাইনালে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৮২ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে শেখ জামাল। জবাবে শেষ ওভারে গিয়ে ৪ উইকেট ও ৪ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে আবাহনী।
এই ম্যাচের গতিপথ বদলেছে বারবার। আগে ব্যাট করা শেখ জামাল ১৬ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে ফজলে রাব্বি মাহমুদ (৪০) ও তাইবুর রহমানের (৫৩) প্রতিরোধ। যদিও দুইজনেই ৬০ এর নিচে স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন।
শেষে রান বাড়ানোর ভার নেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ৭০ বলে ৮ চার ও ৪ ছয়ে অপরাজিত থাকেন ৮৯ রান করে। পারভেজ রসুল ৩৭ বলে ৪২ ও জিয়াউর রহমান ১৪ বলে ২৯ রান করলে ২৮২ রান করে থামে শেখ জামাল।
আবাহনীর হয়ে ২ টি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। ১ টি করে উইকেট খুশদিল শাহ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের।
জবাব দিতে নেমে ১৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় আবাহনী। ওপেনার নাইম শেখ ৭৯ বলে ৬৮ ও এনামুল হক বিজয় ৮১ বলে ৭২ রান করেন। তবে দ্রুত এই দুইজনের বিদায়, তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয়ের রান না পাওয়া দলকে ভোগায়।
জাকের আলি অনিক (২১), মোসাদ্দেক হোসেন (২২) শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেনি। খুশদিল শাহ (৫) তো দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেনি। বাকিদের ব্যর্থ হতে দেখলেও নিজের কাজটা করে গেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। মূলত তার ৫৩ বলে অপরাজিত ৬০ রানে চড়েই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে আবাহনী। শেষদিকে তানজিম হাসান সাকিব ৭ বলে ১২* রান করে তাকে যোগ্য সহায়তা করেন।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নার্ভ ধরে রেখে দলকে জেতানো আফিফ হোসেন ধ্রুব হন ম্যাচসেরা।