

চেমসফোর্ডের কাউন্টি ক্লাব গ্রাউন্ডে ১ম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ড ব্যাট করতে পেরেছিল কেবল ১৬.৩ ওভার। বৃষ্টি বাগড়াতে ম্যাচ হয়েছিল পন্ড। ২য় ওয়ানডেতে অবশ্য টস হেরে আগে ব্যাট করার সুযোগ পায় আইরিশরা। তবে ম্যাচ নেমে আসে ৪৫ ওভারে, বৃষ্টিতে যে ম্যাচ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২ ঘন্টা ১৫ মিনিট পরে।
ম্যাচ শুরু হতে দেরি হলেও উইকেট তুলে নিতে দেরি করেননি হাসান মাহমুদ। ক্রমেই বাংলাদেশ দলের সেরা পেসার হয়ে উঠতে থাকা হাসান মাহমুদ ইনিংসের ৫ম বলেই ফেরান পল স্টারলিংকে। শুন্য হাতে ফেরা স্টারলিংকে অবশ্য শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার, পরে রিভিউ নিয়ে সফল হয় দল।
কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে আইরিশ ব্যাটারদের চেপে ধরেন টাইগার বোলাররা। ৬.১ ওভারের মাথায় অপর ওপেনার স্টিফেন ডোহানিকেও (২১ বলে ১২) ফেরান হাসান মাহমুদ, এযাত্রায় ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
শুরুর এই ধাক্কা দারুণভাবে সামলাতে থাকেন দলের অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি ও চারে নামা হ্যারি টেক্টর। শুরুতে উইকেটে থিতু হয়ে পরে দ্রুত রান তোলাতে মন দেন দুজনই, বিশেষ করে হ্যারি টেক্টর।
টেক্টর বেশি চড়াও হন তাইজুল ইসলামের ওপর। তার করা ২য় ওভারে (ইনিংসের ২০ তম) ৩ ছক্কায় টেক্টর তোলেন ২০ রান। অধিনায়ক তামিম ইকবাল তাইজুলকে দ্রুত সরিয়ে নেন আক্রমণ থেকে, ফেরান শরিফুল ইসলামকে।
অধিনায়কের মুখে হাসি ফেরাতে সময় নেননি শরিফুল। ২৪ তম ওভারের ৩য় বলেই মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান বালবার্নিকে। ৫৭ বলে ৫ চারে ৪২ রান করেন তিনি।
নিজের ৬ষ্ঠ ওভারে গিয়ে ১৪ রান হজম করলেও শেষ বলে লরকান টাকারের উইকেট নেন শরিফুল। জোড়া উইকেট পতনেও বিচলিত হননি টেক্টর, চালিয়ে যেতে থাকেন সাবলীল ব্যাটিং।
৩৫ তম ওভারে গিয়ে নিজের ৪র্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন টেক্টর, সেটাও ৯৩ বলে। ৬ টি করে চার ও ছয়ের সাহায্যে।
৪২ তম ওভারের শেষ বলে এবাদতের বলে যখন টেক্টর বোল্ড হন, দলের রান তখন ২৮২! টেক্টরের নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১৪০ রান। ১১৩ বল খেলা টেক্টর ৭ চারের সাথে হাঁকান ১০ টি ছক্কা!
টেক্টরের দিনে কম যাননি জর্জ ডকরেলও। দেড়শর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৪৭ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। হাঁকান ৩ বাউন্ডারি, ৪ ওভার বাউন্ডারি। মার্ক অ্যাডায়ার ৮ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকলে ৪৫ ওভারে ৩১৯ রান তোলে আইরিশরা।
আয়ারল্যান্ডের রানের পাহাড় গড়ার দিনে ৫.৩৩ ইকোনমিতে ৯ ওভারে ৪৮ রান দেন হাসান মাহমুদ, নেন ২ উইকেট। শরিফুল ইসলাম ২ উইকেট নিলেও ৯ ওভারে দেন ৮৩ রান। ১ টি করে উইকেট নেন এনাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলামও।