

হাতে আরও ৭ ওভার বাকি। রাজস্থান রয়েলসের জিততে দরকার মোটে ৩ রান। ব্যক্তিগত ৯৪ রানে স্ট্রাইকে আছেন ইয়াশাভি জাইসাওয়াল। ঠাকুরের ১৪ তম ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচটা জিতিয়ে দেন জাইসাওয়াল। শতক পূরণ না হলেও তার ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ দর্শক থেকে টিম ম্যানেজম্যান্ট। ১৩ বলে ফিফটি করে আইপিএল ইতিহাসে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির মালিক জাইসাওয়ালকে ভিরাট কোহলিও টুইট বার্তায় প্রশংসায় ভাসিয়েছেন।
ইডেন গার্ডেনসে রয়্যালস ক্যাপ্টেন সাঞ্জু স্যামসন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। রহমানউল্লাহ গুরবাজ, জেসন রয় কেওই ওপেনিংয়ে রান করে যেতে পারেনি। দলীয় ১৪ রানে জেসন রয় এবং ২৯ রানে গুরবাজ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে দলের হাল ধরেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। নিতিশ রানার সাথে বড় জুটি করার আভাস দিচ্ছিলেন। তবে বাধ সাধলেন লেগস্পিনের জাদুকর যুজবেন্দ্র চাহাল। আইয়ারকে ৫৭ রানে এবং নিতিশ রানাকে ২২ রানে ফেরান সাজঘরে।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে কোলকাতার ব্যাটিং লাইন আপের কেউই আর দাঁড়াতে পারেনি। আন্দ্রে রাসেলের ১০ আর রিঙ্কু সিংয়ের ১৫ রানের পর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ২০ ওভার শেষে কোলকাতার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৯।
কোলকাতার ব্যাটিং লাইন আপে একাই ধ্বংসযজ্ঞ চালান যুজবেন্দ্র চাহাল। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রানের খরচায় নেন ৪ টি উইকেট। ট্রেন্ট বোল্ট ২ টি এবং ২টি উইকেটের একটি করে উইকেট নেন আসিফ এবং সন্দ্বীপ শর্মা।
রাজস্থানের ব্যাটারদের ফর্ম বিবেচনা করলে ১৫০ রান করা তাদের জন্য ডালভাত। ব্যাটিংয়ে আজ সেটাই দেখলো ইডেন গার্ডেনসের দর্শকরা। প্রথম ওভার থেকেই প্রতিটা বল উড়িয়ে মারতে থাকে জাইসাওয়াল। দ্বিতীয় ওভারে জস বাটলার রান আউট না হলে হয়তো আরও কিছু রেকর্ড গড়তো রাজস্থান। জস বাটলার ০ করে আউট হলে জাইসাওয়ালের পাশে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে যান সাঞ্জু স্যামসন। করেন ২৯ বলে ৪৮ রান। আর এদিকে জাইসাওয়ালের ৪৮ বলে ৯৮। ৪১ বলে হাতে রেখেই রাজস্থান পায় কাঙ্ক্ষিত জয়।
কোলকাতার কোনো বোলারেরই এদিনে কোনো সফলতা নেই। সবাই শুধু বল করেছেন এবং চার ছয় হজম করেছেন। ৭ বোলারের সবাই উইকেটশূন্য। উইকেট না পেলেও সোয়াশ শর্মা এবং সুনীল নারাইন বেশ ভালো ইকোনমিতে বল করেছেন। রাজস্থানের ৯ উইকেটের জয়ে ম্যাচ সেরা ইয়াশাভি জাইসাওয়াল।