

বৃষ্টি আইনে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের রানের পাহাড় ছোট হয়ে আসে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সামনে। তবুও লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়ে ৫৯ রানের ব্যবধানে হারে মাশরাফির দল লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। অলিখিত ফাইনাল আগামী শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আবাহনী ও শেখ জামাল।
বিকেএসপিতে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে আবাহনী। আর তাতে ১৫ ম্যাচ শেষে দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ২৬। ফলে ১৩ই মে মিরপুরে আবাহনী বনাম শেখ জামালের ম্যাচটি হবে এই আসরের ‘অলিখিত’ ফাইনাল।
ঈদের পর বেশ জমে উঠেছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) এর খেলা। যদিও জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ইংল্যান্ডে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে, ঘরোয়া ক্রিকেটাররও এখানে ব্যাটে বলে ভালো করছে। সামনে ৫০ ওভারের দুটি বড় টুর্নামেন্ট, এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ। তাই নির্বাচকদের সচেতন দৃষ্টি ঘরোয়া ক্রিকেটারদের উপর।
নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে মন্দ শুরু করেনি শেখ জামাল। ওপেনিং জুটি ভাঙে ২৩ বলে ১৮ করে আউট হলে। পরের ওভারেই ফজলে মাহমুদ রাব্বি রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন সাজঘরে। তবে আরেক ওপেনার নিজের জায়গা থেকে সেরাটা দিয়ে আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানের সাথে জুটি গড়েন। সোহান ফিফটি পেলে সৈকত পূরণ করেন শতক।
মিডল অর্ডারের তিন ব্যাটারও নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে খেলেন। রবিউল ইসলাম রবি, পারভেজ রাসুল এবং জিয়াউর রহমানের ব্যাটে জমে উঠে আজকের ডিপিএলের খেলা। রবিউল ৪২ করে আউট হলেও জিয়াউর রহমান এবং পারভেজ ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলেন। জিয়ার ৪২ বলে ৬৪ এবং পারভেজ রাসুলের ২৫ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে ধানমন্ডির সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৩৫০।
লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জাওয়াদ রুয়েন এবং চিরাগ জানি পান ২টি করে উইকেট এবং বাকি একটা উইকেট নেন নাইম ইসলাম জুনিয়র।
বৃষ্টিতে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকলে ডার্ক লুইস মেথডে রুপগঞ্জের নতুন লক্ষ্য ঠিক করা হয় ৩১৫ রান। বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রূপগঞ্জের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন।মাশরাফিকে ওপেনিংয়ে দেখে রীতিমতো বোকা বনে যান ধানমন্ডি ক্লাবের বোলাররা।
তবে রুপগঞ্জের ব্যাটিং লাইন আপের এ পরিবর্তন কোনো কাজে আসেনি। মাশরাফি মাত্র ৩ করে আউট হন। তবে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী রূপগঞ্জের ওপেনার পারভেজ ইমন নিজের দায়িত্বটা বুঝে শুনে করে গেছেন। ইনিংস বড় করতে না পারলেও তার ৬২ রানের ইনিংসটা ম্যাচে রুপগঞ্জকে টিকে থাকতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
লোয়ার মিডল অর্ডারের সোহাগ গাজী তিনে নেমে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। বড় শট খেলতে যেয়ে ১৪ বলে ২৩ করে আউট হন। মিডল অর্ডারে ইরফান শুক্কুরই যেনো রুপগঞ্জের শেষ ভরসা। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে সেঞ্চুরি করেন। এছাড়া আর কোনো ব্যাটার আর জ্বলে উঠতে পারেনি। ৭ উইকেটে ২৫৫ রানে শেষ হয় রুপগঞ্জের ইনিংস।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও সামনে থেকে দলকে টানেন পারভেজ রাসুল, নেন ৩টি উইকেট। আরিফ আহমেদ ২টি এবং সাইফ আহমেদ এবং শহীদুল ইসলাম পান ১টি করে উইকেট।