

টুর্নামেন্টে প্রথম পাঁচ ম্যাচ হেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া দিল্লি ক্যাপিটালস পরবর্তীতে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। বাকি সবগুলো ম্যাচ জিততে পারলে হয়তো দিল্লির প্লে অফের আশা টিকে থাকত। কিন্তু আজ চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ২৭ রানের হারে সে আশা আর আলোর মুখ দেখছে না।
চেন্নাইয়ের হোম ভেন্যু এম. এ. চিদম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মাহেন্দ্র সিং ধোনি। শুরুটা আগের ম্যাচগুলোর মতো হয়নি আজ। সব ব্যাটাররা কিছু কিছু রান করলেও কেওই উইকেটে থিতু হতে পারে নি।
দলীয় ৩২ রানে রুতুরাজ গায়েকোয়াঢ় ২৪ রান করে ফিরলে সেই থেকে শুরু। ডেভন কনওয়ে ১০ করে ফেরেন আক্সার পাটেলের বলে এলবিডব্লু ফাঁদে পা দিয়ে। ললিত যাদব নিজে বল করে নিজেই ক্যাচ ধরে মাত্র ২১ রানে ফেরান আজিঙ্কিয়া রাহানেকে। মুঈন আলী ৭ করে সাজঘরের দিকে হাঁটা ধরেন।
মিডল অর্ডারে শিভাম দুবে ২৫, আম্বাতি রায়ডু ২৩, রবীন্দ্র জাদেজা ২১ এবং ধোনি ২০ করলে চেন্নাইয়ের সর্বমোট সংগ্রহ আসে ৮ উইকেটে ১৬৭।
দিল্লির মিচেল মার্শ আজ বল হাতে দিল্লিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, নেন ৩টি উইকেট। আক্সার পাটেল ২টি উইকেট নিয়ে চেন্নাইকে অল্প রানে বাঁধতে চেষ্টা করলে কুলদীপ যাদব, খলিল আহমেদ এবং ললিত যাদবরা একটি করে উইকেট নিয়ে সে চেষ্টা সফল করে।
জয় সম্ভব এমন সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমেও শুরু থেকে ছন্নছাড়া দিল্লির ব্যাটাররা। দলের জন্য জয়ের বিকল্প নেই এমন ম্যাচে ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার ডাক মারেন। পরবর্তী দুই ব্যাটার ফিল সল্ট, মিচেল মার্শও ম্যাচে ব্যাট হাতে নিজের দায়িত্ব বুঝে নেয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন। ২৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দিল্লি তখন বিপাকে।
মিডল অর্ডারে রাইলি রুশো, মানিশ পান্ডে জুটি এগোতে থাকলে ৩৫ রানে রুশো এবং ২৭ রানে মানিশ পান্ডে আউট হলে সে আশা স্তিমিত হয়। আক্সার পাটেল এবং রিপাল পাটেল ব্যাট চালিয়ে দলের পক্ষে দাঁড়াতে চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তার ব্যাটও বেশিক্ষণ হাসেনি। সবশেষে ৮ উইকেটে ১৪০ রানে থামে দিল্লির ইনিংস।
আগের ম্যাচে ধোনির কাছ থেকে সবক নেয়া পাথিরানা আজ পেয়েছেন ৩টি উইকেট, দ্বীপক চাহার ২টি এবং রবীন্দ্র জাদেজা পেয়েছে ১টি উইকেট। অলরাউন্ড পার্ফরম্যান্সের কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন রবীন্দ্র জাদেজা।