

এইচপি ও টাইগার্স দল নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। ইমার্জিং এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেটারদের। হাই পারফরম্যান্স দলই অনূর্ধ্ব-২৩ দল হয়ে খেলবে আসন্ন ইমার্জিং এশিয়া কাপ। বাশারের চোখ এবাররের আসরে চ্যাম্পিয়ন শিরোপার দিকে।
ইমার্জিং এশিয়া কাপ সবশেষ হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই আসরে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আরও একটি ফাইনাল আর আরও একবার বাংলাদেশের শিরোপা বঞ্চিত হওয়া। মিরপুরে ২০১৯ ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ৭৭ রানে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল সৌম্য-শান্তদের।
বাংলাদেশ ইমার্জিংয়ের কাছে এবারও প্রত্যাশা বেশ উঁচুতে। প্রস্তুত করা হচ্ছে শিরোপার লড়াইয়ের জন্য। গণমাধ্যমের সামনে আজ জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন জানালেন সামনের পরিকল্পনা,
‘ইমার্জিং এশিয়া কাপে আসলে আমাদের হাই পারফরম্যান্স দলটিই খেলে থাকে অনূর্ধ্ব-২৩ দল হিসেবে। একটি অপশন থাকে ২৩ এর বেশি ৩ জনকে খেলানোর। তবে এই বছর আমরা এখনও ঠিক করিনি যদিও তবে আমরা চাইব যে আমাদের অনূর্ধ্ব-২৩ এর যে হাই পারফরম্যান্স দল তারাই খেলুক। পারফরম্যান্স যেমনই হোক আমরা চাইব যে তাদেরকে সুযোগ করে দেওয়ার। ইমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ফাইনালে খেলেছে, চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এবার তো প্রত্যাশা থাকবেই যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি তাহলে খুব ভালো হবে।’
গেল বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়া, অনিয়মিত ক্রিকেটারদের জন্য একটি ছায়া দল গঠনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ‘ছায়া দল’ বাংলাদেশ টাইগার্স এবারও তৈরি করা হবে জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা বেশ কিছু ক্রিকেটারকে নিয়ে।
টাইগার্স দল নিয়ে হাবিবুল বাশার শোনালের বোর্ডের পরিকল্পনার কথা,
‘এই বছর আমরা দলটা আরেকটু ছোট করতে চাই। ভবিষ্যতে যারা জাতীয় দলে খেলবেন তাদেরকে নিয়ে হবে সম্ভবত এবারের টাইগার্স। লম্বা ক্যাম্প হয়ত হবে না, স্কিল ট্রেনিং হবে।’
তামিম, সাকিবদের কোচিংয়ের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া জেমি সিডন্সই সামলাবেন বাংলাদেশ ‘এ’ ও টাইগার্স দলের কোচিং। হাবিবুল বাশারের মতে সবকিছু চূড়ান্ত না হলেও হেড কোচ থাকছেন সিডন্সই।
‘জেমি সিডন্স থাকবেন প্রধান কোচ। সবকিছু এখনও চূড়ান্ত হয়নি যদিও। সাথে বোলিং কোচসহ আরও কয়েকজন কোচ থাকবেন। এবার স্কিল প্র্যাকটিসই বেশি হবে।’
ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তন এসেছে। যুক্ত হয়েছে নতুন হেড কোচ। এর ফলে দেশের নতুন ক্রিকেটাররা বেশ উপকৃত হবেন; এমনটাই আশা নির্বাচক বাশারের।