

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সময়ের বদলে জাতীয় দলে সাকিব, তামিমদের সঙ্গে। তাওহীদ হৃদয় যেন ছুটছেন পাগলা ঘোড়ার মতো। ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটানো হৃদয় নাম্বার পাঁচে হয়ে উঠছেন বাংলাদেশের ভরসা। তবে মাঠের খেলা ছাপিয়ে হৃদয় এখন উপভোগ করছেন ড্রেসিংরুমের রোমান্টিক আবহাওয়া। ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিতে চান পরের ওয়ানডেতেই।
বিপিএলের মতোই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাট হাতে শাসন করবেন তাওহীদ হৃদয়, আর জয়ের হাসি হেসে যাবে বাংলাদেশ। এমনটাই তো চাওয়া এদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। হৃদয়ও আজ জানালেন তিনি সবসময় প্রস্তুত, দলের জন্য যেকোনো জায়গায় নেমে সার্ভিস দিতে।
সঙ্গে শোনালেন গতরাতে বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া ম্যাচের সারাংশ,
‘ঘরোয়া ক্রিকেটে সাধারণত আমি ওয়ানডেতে ৪-৫ নম্বরেই ব্যাট করে থাকি। যদি দল চায় অন্য কোথাও খেলাবে, সেটাই হবে। দলের চাহিদা অনুযায়ী সবসময় চেষ্টা করব, দলের জন্য কিছু করতে। মাঠের আউটফিল্ড অনেক ফাস্ট। কিছু কিছু সাইড একটু ছোট। যারা সেট হবো, যার যেদিন দিন সে যেন ভালোভাবে ইনিংস শেষ করতে পারে।’
চেমসফোর্ডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিকুর রহিমের ফিফটির পরও বাংলাদেশ পায়নি আড়াইশো রানের সংগ্রহ। ছোট-ছোট জুটি, উইকেটের নিয়মিত পতন। ব্যাটিংয়ে যেন ছন্দ খোঁজে পায়নি টাইগার ব্যাটাররা।
তাওহীদ হৃদয় ২য় ম্যাচে নামার আগে জানিয়ে গেলেন গত ম্যাচের সমস্যার কথা। ব্যাক করার টোটকা দিলেন নিজেই,
‘কাল এমন একটা পরিস্থিতি ছিল সবসময় চাইলেও ঝুঁকি নিতে পারছিলাম না। একটু পরপরই উইকেট হারিয়েছি আমরা। আমরা মনে হচ্ছিল ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিতে হবে। যদি বাংলাদেশের মতো ৩০০-৩৫০ রান করতে চাই ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিতেই হবে।’
জাতীয় দলের দরজায় সবে মাত্র ঢুকলেন তাওহীদ হৃদয়। অল্প এ’কদিনেই মিশে গেছেন সিনিয়রদের সঙ্গে। দলের ভেতরকার পরিবেশ হৃদয়কে এনে দিয়েছে স্বস্তির সমারোহ। মনের কথা বললেন গণমাধ্যমের সামনে,
‘সবাই খুব হেল্পফুল। কখনো কাউকে মনে হয় না খুব সিনিয়র। সবার সঙ্গে ফ্রি। যখন যার যেটা প্রয়োজন সবাই অনেক হেল্প করে। আমি মনে করি এখন যে অবস্থায় আছি, আলহামদুলিল্লাহ ভালো অবস্থায় আছি। এটা ধরে রাখতে পারলে ইনশাআল্লাহ্ ভালো ফলাফল করব। আমাদের বন্ডিং অনেক ভালো। এখানে এসে মনেই হয়নি আমি নতুন খেলোয়াড়। আগেও একসাথে খেলেছি। কিন্তু জাতীয় দলে তো প্রথম দুই সিরিজ। একবারও অস্বস্তি বোধ করিনি। সবার কাছ থেকে সাপোর্ট পাচ্ছি।’
গত মার্চে অভিষেক, ঠিক দুই মাসের মধ্যে খেলে ফেলেছেন ১০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ (৪ ওয়ানডে ও ৬ টি-টোয়েন্টি)। তাওহীদ হৃদয় স্বপ্ন দেখছেন, এগিয়ে যাওয়ার পথও পেয়েছেন।