

২০২২ এর টি টোয়েন্টি বর্ষসেরা খেলোয়াড় সুরিয়াকুমার যাদব। এবছরের শুরুটা মোটেও ভালো যাচ্ছিল না তার। তবে হাল ছাড়েননি। এবি ডি ভিলিয়ার্সের সাথে কেনো তাকে তুলনা করা হয়, তিনি নিজের ব্যাটেই তার প্রমাণ দেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে ২৩৭.৪ স্ট্রাইক রেটে খেলে রান করেন ৩৫ বলে ৮৩। ২১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের তিনে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
হোম ভেন্যু মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৫৪ তম ম্যাচে ৯ মে সন্ধ্যায় মুখোমুখি হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। রোহিত শর্মা টস জিতে ফাফ ডু প্লেসিসকে ব্যাটিংয়ে স্বাগত জানান।
শুরুতেই ছন্দপতন। ৪ বল খেলে মাত্র ১ করে আউট হন ভিরাট কোহলি। তার সতীর্থের এত দ্রুত ফিরে যাওয়ার ব্যাপারটা মাথায় না নিয়ে ক্যাপ্টেন তার ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হন। প্লেসিসের সাথে তিনে নামা অনুজ রাওয়াতও জুটি গড়তে ব্যর্থ। তবে আরেক আশার নাম গ্লেন ম্যাক্সওয়েল হতাশ করে নি প্লেসিসকে। প্লেসিস এবং ম্যাক্সওয়েল মিলে মুম্বাই বোলারদের কাপন ধরিয়ে দেন। ৩৩ বলে ৬৮ করে ম্যাক্সওয়েল আউট হলে রানের গতি কিছুটা কমে আসে।
লোয়ার মিডল অর্ডারে মহীপাল লমরর এবং ডেভিড উইলের পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া কেদার যাদব খুব বেশি রান করতে পারে নি। প্লেসিস ৪১ বলে ৬৫ করে আউট হলে ব্যাঙ্গালোরের বড় স্কোরের আশায় চীড় ধরে। ফিনিশার দীনেশ কার্তিক ১৮ বলে ৩০ করে জফরা আর্চারের পরিবর্তে মুম্বাইয়ে যোগ দেয়া ক্রিস জর্ডানের বলে আউট হন। শেষে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ৮ বলে ১২ যোগ করে ২০ ওভার পর ব্যাঙ্গালোড়ের স্কোর ৬ উইকেটে ১৯৯।
মুম্বাইয়ের জেসন বেহরেনডর্ফ একাই ৩ টি এবং বাকি ৩টি উইকেটের ক্রিস জর্ডান, ক্যামেরুন গ্রিন, কুমার কার্তিকিয়া প্রত্যেকে পান ১টি করে উইকেট।
ওভার প্রতি ১০.০০ রান পূরণে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থ আইপিএলের সবচেয়ে সফল ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। শেষ ৪ ইনিংসে এক অঙ্কের রান করে ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। ফিরে গেছেন ৭ করে।
তবে ক্যাপ্টেনের এমন ভুল ধরার সময় নেই কারো। কারণ সবাই তখন ইশান কিশান এবং সুরিয়াকুমার যাদবের ব্যাটিং ক্যারিশমা দেখতে ব্যস্ত। ইশান কিশান ২১ বলে ৪২ করে ফিরে গেলেও থামেনি সুরিয়াকুমারের ব্যাট। তার ৩৫ বলে ৮৩ রানের টর্নেডো ইনিংসে মুম্বাইয়ের ৬ষ্ঠ জয়ের পথ সহজতর হয়ে যায়। তিনি বিজয় কুমার ভাইসেকের বলে আউট হলে টিম ডেভিডও গোল্ডেন ডাক খায় সেই এক ভাইসেকের বলেই।
তবে নেহাল ওয়াধেরার ৫২ রানের ইনিংসর উপর ভর করে ৬ উইকেটে জিতে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ম্যাচ সেরা হন মুম্বাইয়ের সুরিয়াকুমার যাদব।
বোলিংয়ে ব্যাঙ্গালোরের বোলাররা আজ নীরব দর্শক। ওরা শুধু বল করেছেন এবং মুম্বাইয়ের ব্যাটারদের চার ছয় চেয়ে চেয়ে দেখেছন। হাসারাঙ্গা দুটি উইকেট পেলেও হজম করেন ৫৩ রান। বাকি উইকেট নিয়েছেন বিজয় ভাইসেক।