

ঘরের মাঠ ওয়ানডেতে দারুণ ছন্দে থাকা বাংলাদেশ ইংল্যান্ডে গিয়ে পড়ল বিপর্যয়ে। তবে ৩৬ বছর পূর্ণ করার দিন, জন্মদিন ফিফটিতে রাঙালেন মুশফিকুর রহিম। শান্ত ছাড়া আর বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ২৪৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
আইরিশ পেসারদের দাপটের সামনে ৬ নম্বরে আজও ব্যাট হাতে সফল মুশফিক। তবে মুশফিকের বিদায়ের পর বাংলাদেশ পায়নি আড়াইশো রানের সংগ্রহও। ৯ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৪৬ রান।
চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মুখোমুখি আয়ারল্যান্ড। টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। আইপিএল থেকে ফেরা জশ লিটল শুরুর ওভারেই দেখান ক্যারিশমা। লিটলের অফ-স্টাম্পের টো ক্রাশার ইয়র্কারে গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরত যান লিটন। লিটলের লেগ বিফোরের আবেদনে সঙ্গে-সঙ্গেই আঙুল উঁচিয়ে আউটের সিদ্ধান্ত জানান অনফিল্ড আম্পায়ার।
অধিনায়ক তামিমের সঙ্গে দু’য়েক কথা বলে রিভিউ না নিয়েই প্যাভিলিয়নের পথে হাটা ধরেন লিটন দাস। লিটনের দ্রুত বিদায়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বদলে ব্যর্থ হয়েছেন তামিম ইকবাল। মার্ক অ্যাডায়ারের সুইংয়ে তামিমের ব্যাট ছুঁয়ে বল যায় উইকেটকিপারের হাতে। ১৯ বলের ইনিংসে তামিমের ব্যাট থেকে ১৪ রান। ৪ ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ।
এরপর সাকিব, শান্ত’র ব্যাটে স্বস্তি ফেরে টাইগার শিবিরে। কিন্তু গ্রাহাম হিউমের বলে এগিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ২০ রানে স্টাম্প হারান সাকিব। ভাঙে ৩৭ রানের জুটি। তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে স্কোরবোর্ডে আরও পঞ্চাশ যোগ করেন শান্ত। কিন্তু নিজে পূর্ণ করতে পারেননি ফিফটি। ক্যাম্ফারের বলে ৪৪ রানে থাকা শান্ত’র ক্যাচ লুফে নেন অ্যাডায়ার।
হৃদয় গ্রাহাম হিউমকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লরকান টাকারের হাতে হয়েছেন ক্যাচ। ৩১ বল খেলে করেন ২৭। ২৬.৩ ওভারে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেটে, স্কোরবোর্ডে তখন ১২২। দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
দারুণ খেলতে থাকা মিরাজ জর্জ ডকরেলকে ছয় হাঁকাতে যেয়ে হারিয়েছেন উইকেট। মুশফিকের সঙ্গে গড়া ৬৫ রানের জুটিতে মিরাজের সংগ্রহ ২৭। ৬৩ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৪ তম ফিফটি পূর্ণ করেন মুশফিক। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বার্থডে বয় ছুটছিলেন বড় ইনিংসের দিকেই। কিন্তু ৬১ রানে থাকা মুশফিককে বিদায় করে আয়ারল্যান্ডকে ব্রেকথ্রু এনে দেন লিটল।
শেষদিকে তাইজুল আর শরিফুল মিলে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন লড়াকু সংগ্রহের পথে। এরমাঝেই তাইজুল ইসলামকে ফিরিয়ে লিটল ঝুলিতে নেন তিন নম্বর শিকার। ৩৬ বল খেলে ১ চারে তাইজুলের সংগ্রহ ১৪। শরিফুল ইসলাম আউট হন ১৫ বলে ১৬ করে।
শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪৬।