

শেষ বলে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণী যেনো আইপিএলের জন্য নিয়মতান্ত্রিক ব্যাপার। কোলকাতা নাইট রাইডার্সকে প্লে অফে তুলতে রিংকু সিং যেন উঠেপড়ে লেগেছেন। আজও শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে কোলকাতার জয়ের নায়ক রিংকু। ১১ ম্যাচে ৫ জয়ে কেকেআর পয়েন্ট টেবিলের ৫ নম্বরে উঠলেও সমান জয়ে নেট রান রেট কম থাকায় ৭ নম্বরে পাঞ্জাবের অবস্থান।
ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শিখর ধাওয়ান। অধিনায়কের এ সিদ্ধান্তের সঠিক ব্যবহার করতে পারেনি দলের ব্যাটাররা। দলীয় ২১ রানেই প্রথম উইকেটের পতন। সিমরান সিং ফেরেন ১২ রান করে। ভানুকা রাজাপাকশে ৩ এ নেমে নিজের ইনিংস শুরুর আগেই বিদায় হন। এদিকে ধাওয়ান অবশ্য নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে খেলে যেতে থাকেন।
শিখর ধাওয়ানের ইনিংস থামে ৪৭ বলে ৫৭ রানে। মিডল অর্ডারে জিতেশ শর্মা, লিয়াম লিভিংস্টোনরা ধাওয়ানের সাথে উইকেটে টিকে রান করতে পারেননি। জিতেশ শর্মা করেন ১৮ বলে ২১ এবং লিভিংস্টোন করে ৯ বলে ১৫।
ফিনিশারের দায়িত্বে থাকা শাহরুখ খান অবশ্য নিজের দায়িত্বটা ঠিকমতো পালন করে গেছেন। ২৬২.০০ স্ট্রাইক রেটে ৮ বলে করেন ২১ রান। হারপ্রীত ব্রারের ৯ বলে ১৭ আর রিশি ধাওয়ানের ১১ বলে ১৯ যোগ করে ইনিংস শেষে পাঞ্জাবের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৭৯ রান।
কোলকাতার আগের ম্যাচ জয়ের নায়ক বরুণ চক্রবর্তী আজও বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন, নিয়েছেন ৩টি উইকেট। হারশীত রানা ২টি এবং সোয়াশ শর্মা, নিতিশ রানা পান ১টি করে উইকেট।
১৮০ রানের লক্ষ্য পূরণে খুব মেপে বুঝে ব্যাট চালাতে শুরু করলেও দলীয় ৩৮ রানে ফেরেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। জেসন রয়ও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেনি। ৩৮ করে ফেরেন সাজঘরে। হোম ভেন্যু হওয়ায় কোলকাতার ক্যাপ্টেন হয়তো আজ বড্ড দায়িত্ববান। ফিফটি পূরণ করলেও দলের জন্য খেলা শেষ করে আসতে পারেননি।
এ আসরে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া ভেঙ্কটেশ আইয়ার এদিন ফেরেন ১৩ বলে ১১ রানে। এই ইডেন গার্ডেন্সেই তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করেছিল আন্দ্রে রাসেল। সে স্বাদ স্মরণ করেই হয়তো রাসেল খেললেন ২৩ বলে ৪২ রানের নজরকাড়া ইনিংস।
এভাবেই উত্তেজনা ছড়াতে ছড়াতে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ হয় শেষ বলে। এর আগে আর্শদ্বীপের ৬ বলে কোলকাতাকে জিততে হলে করতে হবে ৬ রান। সেই খেলাকে শেষ বল পর্যন্ত আনতে অসাধারণ বোলিং করেন আর্শদ্বীপ সিং। ২ বলে ২ লাগে এমন অবস্থায় আন্দ্রে রাসেলের উইকেট পড়লে খেলা তখনই জমে উঠে। তবুও শেষ পর্যন্ত রিংকু সিং শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে কোলকাতাকে ম্যাচ জেতান।
পাঞ্জাবের বোলারের মধ্যে রাহুল চাহার ২টি, হারপ্রীত ব্রার, নাথান ইলিস পায় ১টি করে উইকেট। কোলকাতার ৫ উইকেটে জয়ে ম্যাচ সেরা আন্দ্রে রাসেল।