

সফরকারী পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে যেনো পাত্তাই পাচ্ছে না বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। একমাত্র চারদিনের ম্যাচে ১০ উইকেটে পরাজয়ের পর প্রথম ওয়ানডেতে ৯ উইকেটে হেরেছিল টাইগার যুবাদের। ২য় ওয়ানডেতে সঙ্গী হয়েছে ৭৮ রানের হার।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২য় যুবা ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ২৭১ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে পাকিস্তান। জবাবে ১৯৩ রান তুলতেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরুতেই হারায় ওপেনার শাহজাইব খানের উইকেট। ১৩ বলে ১ চারে ৬ রান করা শাহজাইবকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন ইকবাল হাসান ইমন।
এরপর তিনে নামা শামিল হুসাইনের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েন ওপেনার আজান আওয়াইজ। ৩৩ রান করা শামিলকে ওয়াসি সিদ্দিকি বোল্ড করে ফেরালে ভাঙে জুটি।। জুটি জমে আজান ও অধিনায়ক সাদ বেগেরও। এই জুটিতে আসে ১২৬ রান। ৬৪ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৫১ রান করেন সাদ।
এরপর দ্রুত কিছু উইকেট হারায় সফরকারীরা। ২ উইকেটে ১৯৩ থেকে দেখতে দেখতে তারা ৭ উইকেটে ২০৯ রানের দলে পরিণত হয়। সাজঘরে ফেরেন সেঞ্চুরি হাঁকানো আজানও। ১২৫ বলে ১৫ চারে তিনি করেন ১০৫ রান। শেষদিকে আমির হাসানের ১৮ বলে ২৯* রানের ক্যামিওতে ৫০ ওভারে অলআউট হওয়া পাকিস্তান করে ২৭১ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ উইকেট নেন ইকবাল হাসান ইমন। ৩ উইকেট নেন মাহফুজুর রাব্বি। ১ টি করে শিকার শেখ পারভেজ জীবন ও ওয়াসি সিদ্দিকির।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের শুরুও ভালো হয়নি। শুন্য হাতে ফেরেন ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি। সে ধাক্কা সামলাচ্ছিলেন অপর ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিক ও তিনে নামা শাহরিয়ার সাকিব।
তবে এই জুটি থামে ৩৭ রানে। ৪১ বল খেলে ১৭ রান করে ফেরেন সাকিব। এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি আদিলও। ৬১ বলে ৬ চারে ৪০ রান জমা হয় তার রানের খাতায়।
এরপর অধিনায়ক আহরার আমিন ৩২ বলে ২৩, জাকারিয়া ইসলাম শানত ৩১ বলে ২৪, শিহাব জেমস ৬২ বলে ৪২, মাহফুজুর রাব্বি ২৫ বলে ২২ করলেও তা যথেষ্ট হয়নি। বরং নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা দল ৪৭ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।
পাকিস্তানের ৭৮ রানের বড় জয়ে বল হাতে ভূমিকা রাখেন মোহাম্মদ ইসমাইল, ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। ২ টি করে উইকেট ঝুলিতে পোরেন আইমাল খান, আলি আসফান্দ ও আরাফাত আহমেদ মিনহাজ। ১ উইকেট নেন আমির হাসান। ম্যাচসেরা হন সেঞ্চুরি হাঁকানো আজান।