

টুর্নামেন্টের শুরুতে পয়েন্ট টেবিলের ১ নম্বর অবস্থানে বেশ কয়েকবার দেখা গেছে রাজস্থান রয়েলসকে। তবে দলের এখনকার চিত্র পুরোই উল্টো। পরপর ৩টি ম্যাচ হেরে ৪ এ নেমে এসেছে রাজস্থান। ২১৫ এর টার্গেট দিয়েও হায়দ্রাবাদের কাছে ৪ উইকেটে হেরে যায় রাজস্থান।
জয়পুরে সাঞ্জু স্যামসন টস জিতে যে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন তা অনুমিতই ছিল। কারণ রাজস্থানের ওপেনিং ব্যাটিং অ্যাটাক অন্য যেকোনো দলের চাইতে সেরা এবং তা আরেকবার প্রমাণ করলেন জস বাটলার এবং ইয়াশাভি জয়সাওয়ালরা। ইয়াশাভি ৩৫ করে আউট হলেও আগ্রা’সন ব্যাটিংয়ে বোলারদের শাসন করে গেছেন জস বাটলার। করেছেন ৫৯ বলে ৯৫ রান।
দলের ওপেনারের এমন শুরুতে ব্যাট হাতে অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনও জ্বলে উঠলেন, চার ছয় হাঁকিয়ে করলেন ৩৮ বলে ৬৬ রান। শিমরন হেটমেয়ার ৫ টি বল ব্যাটে লাগিয়ে ৭ করলে রাজস্থানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ২১৪ রান।
রাজস্থানের এ দুটি উইকেট ফেলেছেন ভুবনেশ্বর কুমার এবং মার্কো জানসেন।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে হবে ব্যাপারটা যেনো গায়েই মাখলো না সানরাইজার্স ব্যাটাররা। ৫১ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙে আনমোল প্রীত সিং ৩৩ করে আউট হলে। আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা অবশ্য নিজের অর্ধশতক পূরণ করতে পেরেছিলেন।
মিডল অর্ডারে হেনরিখ ক্লাসেন এবং রাহুল ত্রিপাঠি ম্যাচের চিত্র পুরোপুরি পাল্টে দেন। তাদের দ্রুতগতিতে রান তোলার সময় যে বোলার আসে চার ছয় হজম করতে হয় তাকেই। ক্লাসেনের ১২ বলে ২৬ আর ত্রিপাঠির ২৯ বলে ৪৭ রানে জয়ের আশা দেখে সানরাইজার্স। সে আশাকে সত্যি করতে গ্লেন ফিলিপ্সের ৭ বলে ২৫ রানের ইনিংসের গুরুত্ব অনেকটা ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ে বেন স্টোকসের ইনিংসের মতো।
শেষ ওভারে সন্দ্বীপ শর্মার বলে দরকার ১৭ রান। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে খেলা শেষ বল পর্যন্ত গড়ালে হঠাৎ আম্পায়ার নো বলের সিগনাল দিলে সানরাইজার্স যেনো পুনরায় জীবন ফিরে পায়। শেষ বলে এবার জিততে দরকার ৪, বাউন্ডারির বিকল্প নেই। আব্দুল সামাদ তাই করলেন। ৬ মেরে সানরাইজার্সকে জেতালেন।
রাজস্থানের যুজবেন্দ্র চাহাল ৪টি এবং কুলদ্বীপ যাদব এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন পান ১টি করে উইকেট। সানরাইজার্সের এ জয়ে ১০ নম্বর থেকে পয়েন্ট তালিকায় ৯ এ উঠে এল স্যামসান বাহিনীরা। ম্যাচ সেরা হন গ্লেন ফিলিপ্স।