

২০২৩ বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে বাংলাদেশ দলের। সবশেষ যাচাই-বাছাইয়ের পরীক্ষা হবে আফগান সিরিজে। বিশ্বকাপের স্কোয়াড সাজানোর মিশনে টাইগার্স টিম ম্যানেজমেন্ট। অধিনায়ক তামিম ইকবালের ভাবনায় আছে ছিটকে যাওয়া অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেনের নাম। এশিয়া কাপের দলকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বিশ্বকাপে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলছেনই কেবল একটা ফরম্যাট। তবুও ব্যাট হাতে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যর্থ। যে কারণে তাকে ছাড়াই আইরিশদের বিপক্ষে পরপর দুই সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন ধ্রুবও আপাতত ওয়ানডে দলের বাইরে। কিন্তু বিশ্বকাপ মিশনে যেতে তাদের উপর এখনও আশা রাখছে নির্বাচকরা, এবার স্বস্তির খবর মিলল অধিনায়কের মুখ থেকে।
ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেনার্স ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুশীলন করতে এসে দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিশ্বকাপের সম্ভাব্য স্কোয়াড ইস্যুতে অধিনায়ক তামিম ইকবাল আলাপচারীতায় মাতেন।
সেখানেই তিনি বলেছেন বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের থাকার প্রবল সম্ভাবনার কথা। কারণ চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে মোহামেডানের জার্সি গায়ে ব্যাট হাতে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন রিয়াদ। এদিকে, তামিম ইকবালও জানালেন বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার আগে আফগানিস্তান ও এশিয়া কাপের দল নির্বাচনে ঘরোয়া লিগের পারফরম্যান্স বিবেচনায় রাখা হবে বেশ গুরুত্বসহকারে।
‘দেখুন, আমি এটা নিয়ে অনেক কথা শুনছি যে এটা কি হচ্ছে না হচ্ছে। আমি মনে করি না (রিয়াদ বিশ্বকাপে থাকবে না)। অবশ্যই সে আমাদের পরিকল্পনায় আছে। শুধু উনি না, এই মুহূর্তে যে দলে নেই যারা কিনা প্রিমিয়ার লিগে ভালো করছে আমরা ওদেরকে নিয়েও কথাবার্তা বলছি। যেটা আমি বললাম যে সম্ভাব্য সেরা জিনিসটা দলের জন্য হবে । আমরা যখন এশিয়া কাপ খেলব তখন আপনি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। তখন আমরা যে স্কোয়াডটা করব সেটাই সম্ভবত বিশ্বকাপের স্কোয়াড হবে। যদি না কেউ ইনজুরিতে পড়ে। তা ছাড়া আমার কাছে মনে হয় না তেমন কোনো পার্থক্য হবে।’
আসন্ন আয়ারল্যান্ড ও দেশের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেই বাংলাদেশ পরীক্ষণ চালিয়ে বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত করে ফেলবে। তাই রিয়াদ, আফিফদেরও ভালো সুযোগ দেখছেন অধিনায়ক তামিম।
‘আফিফের কথাও যদি বলি তারও একই সুযোগ আছে অন্য সব খেলোয়াড়ের মতো। সে দারুণ করছে, একটা-দুইটা সিরিজ যে কোনো মানুষেরই খারাপ যেতে পারে। আমার মনে হয় রিয়াদ ভাই, আফিফ তারা সবাই আমাদের হিসাবে আছে। এশিয়া কাপ আসলে আরও ভালো অবস্থায় থাকবো বিশ্বকাপের জন্য। যেকোনো একটা সময় তো এক্সপেরিমেন্ট বন্ধ করতে হবে। আপনাকে সর্বোচ্চ ম্যাচ দিতে হবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডকে।’
‘এই সিরিজ আর পরের সিরিজে সবাইকে দেখা, নতুন করে সুযোগ দেয়া। এই সিরিজগুলাকেই আমরা মূলত টার্গেট করছি। আপনি সবশেষ সিরিজ দেখেন ব্যাটিং অর্ডারে আমরা কিছু পরিবর্তন করেছি, কয়েকজনকে আমরা উপরে ব্যাটিং করিয়েছি।’
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশের দল নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে একটু আগেভাগেই।