

মিরপুরে সাইফ হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের রোমাঞ্চকর ১৩ রানের জয়। ডিপিএলের সুপার লিগ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের বিরুদ্ধে এই জয়ের ফলে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে টিকে থাকলো নুরুল হাসান সোহানের শেখ জামাল।
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ১৩ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৩ রানের ইনিংস খেলা ওপেনার সাইফ হাসান এদিন বোলিংয়েও ছড়িয়েছেন আলো, ২৬ রান খরচায় দখলে নেন ২ উইকেট। এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার সাইফের হাতে।
শের-ই-বাংলা ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগ পর্বে প্রাইম ব্যাংকের বিরুদ্ধে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে শেখ জামাল। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৬ রানের সংগ্রহ পায় দলটি। সাইফ হাসান ও সৈকত আলির উদ্বোধনী জুটিতেই স্কোরবোর্ডে ৬৩ রান। ব্যক্তিগত ২৯ রানে বিদায় নেন সৈকত।
এরপর ফজলে রাব্বি মাহমুদের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। সাইফ-রাব্বির এই জুটি থেকে আসে ৮৫ রান। এরমাঝেই ফিফটি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথে ছুটতে থাকেন সাইফ। কিন্তু তার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন কাশিফ বাট। বোল্ড হয়ে সাইফ প্যাভিলিয়নে যান ৮৩ রান নিয়ে। কাশিফের তৃতীয় শিকার পারভেজ রাসুল (৮)।
শেষদিকে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান তাইবুর রহমানকে নিয়ে ৬৩ ও জিয়াউর রহমানের সঙ্গে মাত্র ২৫ বলে গড়েন ৪১ রানের পার্টনারশিপ। ফিফটি হাঁকিয়ে সোহান আউট ৫৩ রানে। এর আগে শেখ মেহেদীর শিকার হন ৩০ রানে থাকা তাইবুর। জিয়াউর রহমান ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে থাকেন অপরাজিত।
২৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ১০ রানে পরপর দুই উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। ইনিংসের ২য় ওভারে এসেই শেখ জামালের ভারতীয় রিক্রুট পারভেজ রাসুল ডান-হাতের অফব্রেক ঘূর্ণিতে জাকির হাসান ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেট তুলে নেন। ওপেনার জাকির ৪ রান করলেও মিঠুন ফিরেছেন ডাক হয়ে।
আরেক ওপেনার শাহাদত হোসেন দিপু এরপর লড়াই চালান প্রান্তিক নওরোজ নাবিলকে নিয়ে। এই দুই ব্যাটার দাপট দেখিয়ে গড়েন ১৩৬ রানের অনবদ্য পার্টনারশিপ। জোড়া ফিফটি পূর্ণ করে দু’জনই ছিলেন দারুণ ছন্দে। কিন্তু সাইফ হাসানের জোড়া শিকারে মুহূর্তেই বদলে যায় দৃশ্যপট। ৩০ তম ওভারের ২য় বলে দিপুর উইকেটের পতন, ব্যক্তিগত ৬৬ রানে। এক বল পরেই প্রান্তিক নাবিল বিদায় নেন ৯০ বলে ৭৫ করে।
নামের পাশে ৮ যোগ হতেই রান আউটের ফাঁদে পড়েন নাসির হোসেন। এরপর আল-আমিন জুনিয়র, অলক কাপালি ও শেখ মেহেদীরা রান পেলেও প্রাইম ব্যাংকের জয়ের জন্য যথেস্ট হয়নি। শেষপর্যন্ত তাদের ইনিংস থামে ৪৯.২ ওভারে ২৬৩ রানে। ২২ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন মেহেদী হাসান।