

বাবর আজম চতুর্থ ওয়ানডেতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে আরও এক কদম দলকে এগিয়ে নিলেন। এরই সাথে অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে সমান ১১৩ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসির সবশেষ প্রকাশিত ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে ১ নম্বরে উঠে এসেছে পাকিস্তান।
এছাড়া ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৮ তম সেঞ্চুরির সাথে সাথে দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে ৫ হাজারি রান সংগ্রাহকের ক্লাবে যুক্ত হয়েছেন বাবর আজম। হাশিম আমলার ১০১ ইনিংসের গড়া এ রেকর্ড ভেঙে ৯৭ ইনিংসে নতুন এ রেকর্ডের মালিক এখন বাবর আজম।
করাচিতে চতুর্থ ওয়ানডেতে করাচিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টম ল্যাথাম। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ফখর জামান আজ অবশ্য মাত্র ১৪ রানে আউট হন। ইমাম উল হকের পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া শান মাসুদ ৪৪ করে ইশ সোধির বলে উইকেট কিপারের স্টাম্পিংয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
ক্যারিয়ার সেরা ফর্মে থাকা বাবর আজম আজও সর্বেসর্বা। এলেন, খেললেন, করলেন আরও একটি সেঞ্চুরি। ১০৭ করে আউট হন তিনি। ৬ নম্বরে ব্যাট করা নিয়ে নিজের আপত্তি জানালে রিজওয়ানের সুবিধামতো ৪ এ নামানো হয় তাকে। ২৪ করে রিজওয়ান রান আউট হলে মিডল অর্ডারে রান করার দায়িত্ব একাই সামলান আঘা সালমান। করেন ৪৬ বলে ৫৮ রান।
ফিনিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা ইফতিখার ২৮ করলেও খেলা জমে উঠে শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটে। আফ্রিদির ৭ বলে ২৩ আর হারিসের ৮ বলে ১৭ রানের পর ইনিংস শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৩৩৪।
নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি ৩টা এবং লিস্টার এবং সোধি পান ১টা করে উইকেট।
সিরিজ হারের পর একটি সম্মানজনক জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামলে দলীয় ৩৬ রানেই ওপেনিং জুটি ভাঙে উইল ইয়াংয়ের আউটে। টম ব্লান্ডেল এবং ড্যারিল মিচেল জুটি গড়ার চেষ্টা করলে ২৩ করে ফিরে যান ব্লান্ডেল। ক্যাপ্টেন টম লাথামের সাথেও জুটি বাঁধা হলো না ড্যারিল মিচেলের। এবারে মিচেল ফিরে যান ৩৪ রান করে।
দলকে জেতাতে মিডল অর্ডারে উইকেট আগলে খেলা শুরু করেন লাথাম এবং চাপম্যান। নিউজিল্যান্ডের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬০ রান আসে লাথামের ব্যাট থেকে। লাথামের আউটের পর চাপম্যানও উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেন নি। আউট হন ৪৪ করে। পরের উইকেটে জিমি নিশাম ১১ করলে আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থামে ২৩২ রানে।
নিউজিল্যান্ডের সব উইকেট পকেটে পুড়েছে পাকিস্তান পেসাররা। পিএসএল থেকে উঠে আসা উসামা মীর পেয়েছেন ৪টি, ৩টি পেয়েছে মোহাম্মদ ওয়াসিম, ২টি হারিস রউফ এবং ১টি উইকেট নিয়ে দলের জয়ে খুশি শাহীন শাহ আফ্রিদি। পাকিস্তানের এ জয়ে ম্যাচ সেরা ক্যাপ্টেন বাবর আজম।