

চলতি বছরের অক্টোবরে হবে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ৫০ ওভারি বিশ্বকাপের একক আয়োজক ভারত। তবে এখনো বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করেনি বিসিসিআই (দ্য বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া)। মূলত পাকিস্তানের অংশগ্রহণ, সাথে কোন ভেন্যুতে কোন দলের খেলা হবে তা ঠিকঠাক না করতে পেরেই এখনো সূচি প্রকাশ করা হয়নি।
তবে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী বিসিসিআই ২০২৩ বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করবে চলমান আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) শেষে। বড়সড় এক লঞ্চিং প্রোগ্রাম আয়োজন করবে ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রভাবশালী বোর্ড।
এই বিশ্বকাপের মঞ্চেই ২০১৬ সালের পর ভারতের মাটিতে খেলবে পাকিস্তান। ধারণা করা হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান হাই ভোল্টেজ ম্যাচ হবে ভারতের সবচেয়ে বেশি দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৫ অক্টোবর শুরু হবে বিশ্বকাপের দামামা। নাগপুর, ব্যাঙ্গালুরু, ত্রিভান্দ্রাম, মুম্বাই, দিল্লি, লখনৌ, গোহাটি, হায়দ্রাবাদ, কোলকাতা, রাজকোট, ইনদোর ও ধরমশালা মূল ম্যাচ ও অনুশীলন ম্যাচের ভেন্যু হবে।
তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো হতে পারে কেবল চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরুতে। এই দুই ভেন্যু ছাড়া পাকিস্তানের ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের সম্ভাব্য ভেন্যু আহমেদাবাদ, এছাড়া কোলকাতাতেও হতে পারে বাবর আজম, শাহীন শাহ আফ্রিদিদের একটি ম্যাচ।
পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশের বেশিরভাগ ম্যাচ কোলকাতা ও গোহাটিতে আয়োজন করা হবে বলে খবর। ভারতের প্রতিবেশী দেশ বিধায় বাংলাদেশের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে দেশ থেকে কম দুরত্বের ভেন্যু বিবেচনা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানদেরও বিশ্বকাপের সময় খুব বেশি ভ্রমণ জটিলতা থাকবে না।
অক্টোবর-নভেম্বর বর্ষা মৌসুম হওয়ায়, বিসিসিআই নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ম্যাচগুলি শেষ করার পরিকল্পনা করছে।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলাপ করে ভারতীয় দলের ম্যাচের ভেন্যু ঠিক করছে বিসিসিআই। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর বড় দলের বিপক্ষে ম্যাচগুলো স্লো উইকেটে খেলার প্রেসক্রিপশন এসেছে ভারতীয় দল থেকে।
বিশ্বকাপের আগে স্টেডিয়াম উন্নতকরণে বিসিসিআই ৫০০ কোটি রুপির বেশি খরচ করছে।